নাটোরের বাগাতিপাড়া ও লালপুরের মাঝ দিয়ে বহমান বড়াল নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করার অভিযোগ করা হয়েছে। আবাদি জমির ক্ষতি রোধে লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ করেছেন চিমনাপুর এলাকাবাসী। মানা-নিষেধ করতে গেলে অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শন ও হাসুয়া নিয়ে তাড়া করার অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রে জানা যায়, কোন উন্মুক্ত স্থান, নদীর তলদেশ থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। এছাড়াও সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ। এমন নির্দেশনা থাকলেও প্রভাব দেখিয়ে বালু উত্তোলন করছে নাটোরের বাগাতিপাড়া ও লালপুরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া বড়াল নদীর চিমনাপুর এবং শোভ এলাকায়।
নদীর উত্তর অংশে বাগতিপাড়ার চিমনাপুর ও লালপুরের শোভ গ্রাম। লালর্পু উপজেলার শোভ গ্রামের আব্দুস সালামের নেতৃত্বে আব্দুর রাজ্জাক, মোজাম্মেল, আব্দুল কাদেরসহ বেশ কয়েকজন মিলে আজ দুপুর থেকে ব্যবসার উদ্দেশ্যে শুরু করেছে অবৈধ বালু উত্তোলন। এভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে নদীপাড়ের আবাদি জমি, বাগান ও বসতবাড়ি ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়ে যাবে বলেন চিমনাপুর এলাকাবাসী। অভিযুক্তরা লালপুর উপজেলার হওয়ায় চিমনাপুরবাসী লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রশাসনকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়। এলাকাবাসী মানানিষেধ করলে বালু উত্তোলনকারীরা অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শন ও হাসুয়া নিয়ে তাড়া করে করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।
চিমনাপুর গ্রামের এলাহী দাবী করেন, ‘আমি দুপুরে দিকে তাদেরকে বলতে যাই এভাবে বালু উঠালে আমাদের জমি-জমা ও ফসলের অনেক ক্ষতি হবে। এ কথা বলতেই আব্দুস সালাম হাসুয়া নিয়ে আমাকে তাড়া করে। আর সাথে থাকা আরেকজন পিস্তল বের করে। তাদের সাথে কথা বলাই যাচেছ না।’
বিষয়টি নিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাগাতিপাড়া মেরিনা সুলতানা অভিযোগের পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘নদীটি লালপুর-বাগাতিপাড়ার মাঝখানে। যেখানে মেশিনটি বসানো হয়েছে, সেই স্থানটি লালপুরে তাই আমরা লালপুর উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার