বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারমান তারেক রহমানকে সাজা দেয়ার প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বগুড়া জেলা বিএনপি। কর্মসূচি শুরুর আগে পুলিশের লাঠিচার্জে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শুক্রবার সকালে দলীয় কার্যালয় কাঁটাতারের বেড়া আর আইন শৃংখলাবাহিনীর দ্বারা অবরুদ্ধ অবস্থার মধ্যে বিএনপির নেতাকর্মী শহরের নবাববাড়ী রোডে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন। আইন শৃংখলাবাহিনীর তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে কর্মসূচিতে যোগ দিতে সকাল থেকে নেতাকর্মীরা শহরের নবাববাড়ী রোডের জেলা কার্যালয়ে আসতে থাকেন।
কার্যালয়ের পশ্চিম পাশের ফতেহ আলী মাজারের সামনে এবং দক্ষিণে সদর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে নবাববাড়ীর গেটে কাঁটাতারের বেরিকেড দেয়া হয়। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফতেহ আলী মাজারের সামনের বেরিকেড ভেদ করে বেশকিছু নেতাকর্মী ভিতরে ঢুকতে চাইলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এসময় তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এতে কমপক্ষে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয় বলে দলীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
দুপুর ১২টায় দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বগুড়া জেলা সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি পুলিশ ফাঁড়ির সামনে কাঁটাতারের বেরিকেডে বাধা পেয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম। বক্তব্য দেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জেলা সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, কেন্দ্রীয় সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ শোকরানা, আলী আজগর হেনা, লাভলী রহমান, অধ্যাপক ডাক্তার মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, রেজাউল করিম বাদশা, সাবেক এমপি নূর আফরোজ বেগম জ্যোতি, মীর শাহে আলম, পরিমল চন্দ্র দাস, তৌহিদুল আলম মামুন, আব্দুল ওয়াদুদ, আবুল বাশার, মাজেদুর রহমান জুয়েল, আলীমুর রাজি তরুন, মাহমুদ শরীফ মিঠু , শামছুল হক রোমান, মোশারফ হোসেন স্বপন প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/হিমেল