পুলিশের ধরপাকড় আতঙ্কে বিএনপি শূন্য এখন রাঙামাটি। নাশকতা সৃষ্টির আশঙ্কায় সাঁড়াশি অভিযানে নামে রাঙামাটি পুলিশের বিশেষ দল। গত সোমবার প্রথমে আটক করা হয় রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি ও যুবদলের সভাপতিসহ দলটির ৬ নেতাকর্মীকে। এ আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে পুরো রাঙামাটি জেলায়। শুরু হয় পুলিশের ধরপাকড়। রাত হলে এলাকায় এলাকায় সাঁড়াশি অভিযানে নামে পুলিশ। এ অভিযান চলে ভোররাত পর্যন্ত। তাই এলাকা ছাড়া হয়েছে বিএনপির প্রায় সব নেতাকর্মী।
পুলিশের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি রাঙামাটিতে পুলিশের সরাসি অভিযানে রাঙামাটি সদর থেকে ৮ জন, লংগদু উপজেলার ২ জন, কাউখালী উপজেলার একজন, বাঘাইছড়ি উপজেলার ২ জন, কাপ্তাই উপজেলার ৬ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহ আলম, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক আবুল হোসেন বালি, জেলা যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাকিল, সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস ও রাঙামাটি জেলা ছাত্র দলের সভাপতি মো. আবু সাদ্দাৎ সায়েম, সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দীন, জেলা ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক মো. কামাল উদ্দীন।
অন্যদিকে একই অভিযোগে রাঙামাটির লংগদু উপজেলা সদর থেকে আটক করা হয় যুবদলের সদস্য বাছির মিয়া ও উপজেলা জামায়াতকর্মী আমিনুল ইসলাম বুলবুল। কাউখালী উপজেলা থেকে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মো. শিপন। বাঘাইছড়ি উপজেলা থেকে উপজেলা বিএনপির কর্মী খোরশেদ আলম ও মো. হানিফ। কাপ্তাই উপজেলা থেকে উপজেলা যুবদলের সমবায় বিষয়ক সম্পাদক নূরুল আলম, ওয়াগ্গা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি আবদুল আল ডালিম, একই ইউনিয়ন থেকে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবুদল করিম, মো. হারুন, মো. ফয়েজ আহমেদ ও মো. রবিউলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আটকের পর রাঙামাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালতের সিনিয়র বিচারক বলে জানান সংশ্লিষ্ট থানার ওসি।
এদিকে রাঙামাটিতে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের নেতাকমীৃদের মুক্তি দাবি জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান। তিনি বলেন, ''নাশকতা সৃষ্টির আশঙ্কার নামে পুলিশ নিরপরাদ বিএনপির নেতাকর্মীদের আটক করে মামলা দিয়ে হাজতে প্রেরণ করেছে। এটা আসলে দুঃখজনক। কারণ রাঙামাটিতে কখনো রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। এ অঞ্চলে শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচলনা করে থাকে। তাহলে কেন এ সাঁড়াশি অভিযান? এটা বিনা কারণে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা ছাড়া আর কিছুই না।''
বিডি-প্রতিদিন/০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব