স্বাস্থ্য বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। মাতৃসদন নামে পরিচিত পিরোজপুরের এ প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে সেবা কার্যক্রম বিঘ্নতার কারণে চরম বিপাকে পরেছেন গর্ভবতী মায়েরা। মাতৃসদনে কর্মরতদের ব্যক্তিগত নানা ধরনের জটিলতার প্রভাবে এ বিঘ্নতা দেখা দেয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে চরম বিপাকে পরেছেন দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত পরিবারের গর্ভবতী মায়েরা।
পিরোজপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে আগেও এধরনের সমস্যার কারণে বন্ধ হয়েছিল নিদিষ্ট কিছু সেবা। অভিযোগ রয়েছে, একটি স্বার্থনেষী মহলের কারসাজি রয়েছে মাতৃসদনের সেবা বাধাগ্রস্থ করার পিছনে।
পিরোজপুর পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রাম কৃষ্ণ দাস জানান, বর্তমানে প্রকৃতিগতভাবে মায়েদের নরমাল ডেলিভারির হার কমে গিয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে মায়েদের সিজারিয়ান অপারেশনের করতে হচ্ছে। তবে এ মাতৃসদনে সিজারিয়ান অপারেশনের পাশাপাশি নরমাল ডেলিভারিও হচ্ছে। বর্তমানে ডাক্তার সংকটের কারণে সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।
মা ও শিশু কেন্দ্রের এক কর্মচারি নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, একটি মহল যড়যন্ত্রের মাধ্যমে এখানের ডাক্তারকে সরিয়েছে। তারা রোগী ভাগিয়ে নিতে বারবার চেষ্টা করে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রাখতে।
পিরোজপুর পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রাম কৃষ্ণ দাস জানান, মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে সিজারিয়ান অপারেশন বাদে মায়েদের অন্য সেবা চালু আছে। এনেসথেসিয়া ডাক্তার বদলি ও নতুন কেউ যোগ না দেবার কারণে অপারেশন করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার