নরসিংদীর বীরপুরে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে হামলা, ভাংচুর ও শ্রমিকদের পিটিয়ে আহত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শ্রমিকরা।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বীরপুর সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম, কোষাধ্যক্ষ সুমন মুন্সী, দপ্তর সম্পাদক আমীর হোসেন, পান্থশালা শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি হাজারী বাবুল প্রমুখ।
মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, মঙ্গলবার সকালে মালবাহী ট্রাকের চাপায় সিএনজি অটোরিকশায় ২ জন নিহত হয়। এই ঘটনায় ২ শতাধিক লোক বীরপুর সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। হামলাকারীরা স্ট্যান্ডের প্রায় ৭০টি অটোরিকশা ভাংচুর করে। ওই সময় তাদেরকে বাধা দিতে দিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাবা নজরুল ইসলাম কাজল, বড় ভাই ও সিএনজি স্ট্যান্ডের সভাপতি শফিউল ইসলাম রুশদীসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। ওই সময় তারা সভাপতির বালু মহালে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে।
কিন্তু এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকরা থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও মামলা নথিভুক্ত করেনি পুলিশ। তাই মানববন্ধন থেকে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান। একই সঙ্গে ঘটনার সময় সাংবাদিকদের উপর হামলা ও ক্যামেরা ভাংচুরের নিন্দা জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এদিকে, ওই ঘটনার পর দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টা নরসিংদী-রায়পুরা সড়কে সিএনজি অটোরিকশা বন্ধ রাখা হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে এই রুটে চলাচলকারী হাজার হাজার যাত্রী। পরে উপযুক্ত বিচার ও আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ আশ্বাস দিলে বুধবার বেলা ১২টা থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
নরসিংদীর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা কিংবা সিএনজি স্ট্যান্ডে হামলার ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ মার্চ, ২০১৮/মাহবুব