কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ১৪১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪১টিতেই প্রধান শিক্ষক নেই। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়েই চলছে একাডেমিক কার্যক্রম। এতে পাঠদান ছাড়াও প্রশাসনিক কার্যক্রমে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই শূন্যপদগুলো পূরণ করে মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
চকরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১৪১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ৪১টিতে প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। ফলে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটা নাজুক হয়ে পড়েছে। এসব বিদ্যালয়গুলো হল- ডেইংগাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বমু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কৈয়ারবিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বদরখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোবিন্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিদানতরানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ ফুলছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মানিকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম ডেমুশিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঈদমনি আছাদ আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোণাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছৈয়দ খুরশিদা বেগম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজী নজর আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাহামুদনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ বহলতলী সাইক্লোন শেল্টার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেতুয়ারকূল জাহান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিএমচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম দিগরপানখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এছাড়া পূর্ব কৈয়ারবিল ইসলামনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব বড়ভেওলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিরিংগা বার্মিজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমজাদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চা-বাগান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,মুবিনপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাজীর পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেতুয়ারকুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মছনিয়াকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,দক্ষিণ-পশ্চিম ঢেমুশিয়া ফয়েজ আহমদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম ডুলাহাজারা ষোলহিচ্ছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বরইতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,ডুমখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,কৃষ্ণাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,চরণদ্বীপ ডুলখালী পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর সুরাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কল্লোল আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,জব্বরনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব কৈয়ারবিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢেমুশিয়া মোছারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রিংভং দক্ষিণ পাহাড়পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আজমনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পশ্চিম বড় ভেওলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় একজন সহকারি শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে চালানো হচ্ছে শিক্ষাদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। এছাড়া সহকারি শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক না থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকায় তারা প্রায়ই উপজেলা সদরে দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকেন। এতে স্কুলে পাঠদান বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিভাবকদের অভিযোগ।
চকরিয়া উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারুল কাদের বলেন, যেসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকের পদ শূন্য সেসব বিদ্যালয়ের তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছে। আশা করি অচিরেই শূন্যপদগুলো পূরণ করতে পারবো।
বিডি প্রতিদিন/৭ মার্চ ২০১৮/হিমেল