নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ইউনিয়ন পর্যায়ে হতদরিদ্রদের জন্য সরকার নির্ধারিত মূল্যে কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য শস্য হিসেবে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। তবে ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রে জানা যায়, বছরে পাঁচ মাস ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রয় করা হচ্ছে। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে দশটি ডিলারের মাধ্যমে সপ্তাহে তিনদিন পাঁচ হাজার একশত এগারো জনকে চাল দেয়া হচ্ছে। প্রতি মাসে একবার কার্ডধারীরা দশ টাকা দরে চাল কিনতে পারবে। তবে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ত্রিশ কেজির দাম নেয়া হলেও প্রতি বস্তায় দেড় থেকে দুই কেজি করে চাল কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার তমালতলা এলাকার কয়েকজন কার্ডধারী ডিলারের কাছ থেকে চাল নিয়ে ওজন করে কম হওয়ার অভিযোগ করেন। দেখা যায়, চালের বস্তার মুখে হাতে শেলাই রয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বিকার করে তমালতলা বাজারের ডিলার অভিযুক্ত বাবুল আক্তার লিটনের দাবী, ‘চাল কম হওয়ার অভিযোগ থাকলে ওই বস্তা উপজেলা খাদ্য গুদামে ফেরত পাঠাবো। আমি ওজন করে দেখেছি, ঠিক আছে।’
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অরুন কুমার প্রামানিক দাবী করেন, ‘চাল কম হওয়ার প্রশ্নই আসেনা। যদি কোন বস্তাতে চাল কম হয় তাহলে ডিলার উঠাবে না। ডিলার চাল গ্রহন করার পরে কোন অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন বানু বলেন, ‘চাল প্রত্যেককে ত্রিশ কেজি করে দিতে হবে। কোন ডিলার অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’
বিডি প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর