কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া শরনার্থী ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রে করে দুই ডাকাতদলের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে রোহিঙ্গা হাকিম ডাকাতের অন্যতম সহযোগী হোছন আলী ওরফে বাইল্যা ডাকাত (৩০) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। নিহত বাইলা ডাকাত টেকনাফের নয়াপাড়া শরনার্থী ক্যাম্পের বাসিন্ধা মো. সালামের ছেলে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। তবে রোহিঙ্গা দুই ডাকাত দলের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রে করে গুলিবিদ্ধ হয়ে সে মারা যায় বলে জানা গেছে। এতে শরণার্থী ক্যাম্পে আনসার ব্যারেক হামলা ও অস্ত্র লুট মামলার আসামী বহুল আলোচিত নুরুল আলম ডাকাত গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পালিয়ে যায় বলে জানায়।
পুলিশ সূত্রে জানায়, টেকনাফের নয়াপাড়া শরনার্থী ক্যাম্পে দুই ডাকাত দলের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রে করে গোলাগুলিতে বাইল্যা ডাকাত নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আরেক ডাকাত নূরুল আলম গুলিবিদ্ধ হয়ে পালিয়ে গেছে বলেও জানা গেছে। তবে এ ঘটনায় জড়িত দুই রোহিঙ্গাকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। এরা হল, নয়া পাড়া শরনার্থী ক্যাম্পের ৪৬১৭৮ নং এমআরসিধারী ই- ব্লকের বাসিন্ধা মৃত বেচা মিয়ার ছেলে সহোদর আবদুর রাজ্জাক ও আব্দুস সালাম।
এদিকে জানা গেছে, টেকনাফের নয়াপাড়া শরণাথী ক্যাম্পে আনসার ব্যারেক হামলা ও অস্ত্র লুট মামলার অন্যতম আসামী বহুল আলোচিত নূরুল আলম ডাকাত কিছু দিন আগে কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন। সে শরণার্থী ক্যাম্পে আসার পর থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি ডাকাতদল সংগঠিত করছিল। গত এক সপ্তাহ আগে নয়া পাড়া শরনার্থী ক্যাম্পের ই ব্লকের ৪৬১৭৮ নং এমআরসিধারী মৃত বেচা মিয়ার ছেলে আবদুর রাজ্জাককে অপহরণ করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। এই ঘটনায় কোন কিনারা না পেয়ে দুইদিন পর লক্ষাধিক টাকা মুক্তিপনে ছাড়া পায় বলে জানায় তার স্ত্রী শফিকা বেগম।
স্ত্রী শফিকা বেগম আরও জানান, গত বুধবার গভীর রাতে নূরুল আলম ডাকাতের নেতৃত্বে একটি ডাকাতদল আবারো বাড়ীতে এসে হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয় প্রশাসনকে মুঠোফোনে জানানো হয়েছে। তবে চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বাড়িতে কয়েক রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে প্রশাসনের লোকজন এসে আমার স্বামী ও ভাসুরকে নিয়ে আসেন।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) রনজিত কুমার বড়–য়া জানান, নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই ডাকাত দলের মধ্যে গোলাগুলিতে বাইল্যা ডাকাত নিহত হয়েছে। সে রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার আবদুল হাকিমের প্রধান সহযোগী ছিল। এ ঘটনার খবরে পুলিশের একটি দল নিয়ে সেখানে অভিযান গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নয়াপাড়া আনসার ব্যারেক ও অস্ত্র লুট মামলার অন্যতম আসামি নুরুল আলম ডাকাত গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পালিয়ে যায়। এতে রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুর রাজ্জাক ও আবদুস সালামকে আটক করা হয়। এর পর পাহাড়ের একটি অংশে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনের লাশ পাওয়া যায়। পরে লাশটি হোসন আলী প্র: বাইল্যা ডাকাত বলে সনাক্ত করা হয়। এর পর লাশটি উদ্ধার পূর্বক সুরুতহাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। তবে আটক দুইজন এই ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে। এই ব্যাপরে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন।
বিডিপ্রতিদিন/ ০৮ মার্চ, ২০১৮/ ই জাহান