বাগেরহাটের সাইনবোর্ড-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কে একটি বাসে বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বাসচালক রাজু মল্লিক ও সুপারভাইজার কামরুল হাওলাদারসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঢাকা মেট্রো-৩৯৪৯ নং বাসটি ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে রায়েন্দা যাচ্ছিল।
আহত যাত্রী রাহাত হোসেন (২২), ইমরান হাওলাদার (১৫), ড্রাইভার রাজু মল্লিক (২৬) ও সুপারভাইজার কামরুল তালুকদারকে (৩০) রাত সাড়ে ৩টায় মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে গুরুতর জখম কামরুল ও রাজুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাগেরহাট ও খুলনায় স্থানান্তর করা হয়েছে। অপর আহতদের নাম জানা যায়নি।
ডাকাতির কথা স্বীকার করলেও ঘটনাস্থল নিয়ে ঠেলাঠেলি চলছে মোরেলগঞ্জ ও কচুয়া থানা পুলিশের মধ্যে।
আহত যাত্রীরা ও নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বাসের কয়েকজন কাউন্টারম্যান বলেন, মোরেলগঞ্জের দৈবজ্ঞহাটি স্টেশন ছাড়ার পরেই ৮/১০ জনের একদল ডাকাত চড়াও হয় চালক ও যাত্রীদের ওপর। এছাড়া অস্ত্রে মুখে গাড়ির সুপারভাইজারের নিকট থেকে নগদ ১৬ হাজার টাকাসহ যাত্রীদের মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকাসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল হাতিয়ে নেয়।
এই ডাকাতির বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল আলম বলেন, ডাকাতির ঘটনা মোরেলগঞ্জ থানা এলাকায় ঘটেনি। রাতে পুলিশ টহলে ছিল। এটা ঘটেছে সাইনবোর্ড-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কের কচুয়া থানা এলাকার উচু ব্রিজের কাছে।
কচুয়া থানা পুলিশ ওই এলাকায় ডিউটিতে থাকার কথা কিন্তু থাকে না বলেও জানান ওসি রাশেদুল আলম।
মোরেলগঞ্জ থানার ওসির এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে কচুয়া থানার ওসি মো. রবিউল কবির বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ডাকাতির ঘটনা শুনেছি। এটা কচুয়ার মধ্যে নয়, মোরেলগঞ্জের মধ্যে ঘটেছে। কারণ কচুয়া থানা পুলিশের এএসআই রোকন টহল গাড়ি নিয়ে সাইনবোর্ড থেকে ঢাকার সকল পরিবহনকে মোরেলগঞ্জের দৈবজ্ঞহাটি বাজার পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে। দৈবজ্ঞহাটির পরেই ঘটেছে ডাকাতির ঘটনা।
এ সম্পর্কে জানার জন্য বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপারের সরকারি নম্বরে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে গত ২ মাসে ওই পরিবহনে ৩টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে সাইনবোর্ড-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কে। ফলে এই এলাকার পরিবহন মালিক ও শতশত যাত্রী এখন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/০৮ মার্চ ২০১৮/এনায়েত করিম