ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৫টি ইউনিয়ন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী এবং মেম্বর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে প্রতিদিন ছোট ছোট সংর্ঘষের ঘটনা ঘটছে। এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার সমর্থীত মেম্বর প্রার্থী রুবেলের সমর্থকরা অপর মেম্বর প্রার্থী নুরুজ্জামানের সমর্থক ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো.জামাল হক হাওলাদারকে কুপিয়ে জখম করেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে পুলিশ রজপাড়া বাসস্টান্ড থেকে ১০ রামদাসহ ছাত্রলীগ ক্যাডার মাসুম মীর ও তার দুই সহযোগী ভাড়টে মোটরসাইকেল চালক রুবেল মোল্লা ও জলিল তালুকদাকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বাড়ি ধানখালী ইউনিয়নের চর নিশান বাড়িয়া গ্রামে জানা গেছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৯ মার্চ কলাপাড়ার ধানখালী, মিঠাগঞ্জ, বালিয়াতলী, চম্পাপুর ও ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে বালিয়তলী, মিঠাগঞ্জ ও ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী যথাক্রমে নুরুল কবীর ঝুনু, মনিবুর রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ নির্বাচন কমিশন বরাবর এক লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। লিখিত অভিযোগে তারা উল্লেখ করেছেন, ওই তিনটি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবিএম হুমায়ূন কবীর, কাজী হেমায়েত উদ্দিন হিরন ও আব্দুস সালাম শিকদার ও তার সমর্থকরা প্রচার কাজে বাঁধাসহ হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা কোন কাজে নামতে পরছে না। একই অবস্থা ধানখালী ও চম্পাপুর ইউনিয়নে। তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন কমিশনার মো: আব্দুর রশিদ সাংবাদিকদের জানান, যে কোন প্রকার অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/২৫ মার্চ ২০১৮/হিমেল