বরিশালের মুলাদী উপজেলার সদর ইউনিয়নের দড়িচর লক্ষ্মীপুর গ্রামে ফজিলা বেগম নামে এক নারীকে (৫০) খুনের অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা। আজ বাড়ির সামনের খাল থেকে ফজিলা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ নিহতের পুত্রবধূ ফাতেমা বেগমসহ তার পরিবারের ৫ জনকে আটক করেছে। নিহত ফজিলা ওই গ্রামের বাসিন্দা ওমান প্রবাসী জাহাঙ্গীর হাওলাদারের স্ত্রী।
স্বজনরা জানান, ওমান প্রবাসী আজাদ হাওলাদার প্রায় ৩ মাস আগে দেশে ফিরে গোপনে পাশ্ববর্তী বাড়ির আয়নাল বেপারীর কন্যা ফাতেমা বেগমকে বিয়ে করে। বিষয়টি জানাজানি হলে গেলে তার মা ফজিলা বেগমসহ পরিবারের অন্যান্যরা তাদের বিয়ে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে আয়নাল বেপারী ও তার পরিবারের সাথে ফজিলা বেগমের পরিবারের মধ্যে মতবিরোধের সৃষ্টি হয়। গত শনিবার রাত ৮টার দিকে আয়নাল বেপারীর ভাতিজি হালিম বেপারীর মেয়ে শারমিন মুঠোফোনে ফজিলা বেগমকে ডেকে নেয়। রাতে বাড়ি ফিরে না আসায় তার ছেলে জুয়েল ও অন্যান্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। গত রবিবার সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় লোকজন কাজীরহাট সংলগ্ন খালে এক নারীর মৃতদেহ দেখতে পেয়ে জুয়েলকে সংবাদ দিলে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মায়ের মৃতদেহ শনাক্ত করেন।
স্বজনদের ধারণা, শনিবার রাতের কোনো এক সময় ফজিলা বেগমকে কুপিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার লাশ নদীতে ফেলে দেয়া হয়।
মুলাদী থানার ওসি জিয়াউল আহসান জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আয়নাল বেপারী, তার মেয়ে ফাতেমা বেগমসহ একই পরিবারের ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বিয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফজিলা বেগম খুন হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন ওসি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার