উৎসবমুখর পরিবেশে ঠাকুরগাঁওয়ের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দুই বাংলার মিলন মেলা। একে ঘিরে বিএসএফ ও বিজিবি’র সোহার্দ্যপূর্ণ আচরণে সন্তুষ্ট স্থানীয়রা। এমন আয়োজনকে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়ারও দাবি জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।
পহেলা বৈশাখকে ঘিরে উৎসের যেন কমতি নেই ঠাকুরগাঁও জেলার সীমান্ত পারের মানুষের। ভারতে বসবাসরত স্বজনদের এক নজর দেখতে আজ সকাল থেকেই অপেক্ষার প্রহর গুনছিল বাংলাদেশি স্বজনরা। রবিবার বেলা ১১টায় বিএসএফ এর পক্ষ থেকে অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই হরিপুর উপজেলার দনগাঁ সীমান্তে কাটাতারের কাছে গিয়ে নিজ নিজ স্বজনদের দেখে অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় সুখ-দুঃখের কথা ও দু'দেশের খাদ্য-বস্ত্রও স্বজনদের মধ্যে আদান প্রদান করা হয়। হাজার হাজার মানুষের ভিরে পরিণত হয় মিলনমেলায়। আর একে ঘিরে জিনিসপত্র নিয়ে অস্থায়ী অর্ধশত দোকানপাট বসে প্রসরা সাজিয়ে।
হরিপুর উপজেলার ৫নং ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মংলা জানান, এবার প্রথম বারের মতো বিশুদ্ধ পানির জন্য নলকূপ, টয়লেট ও বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে একদিনের জন্য হলেও সীমান্ত পারে ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে হরিপুর উপজেলার বিওপি কমান্ডার মো. আব্দুস সেলিম জানান, মিলনমেলার ক্ষেত্রে বিএসএফ অত্যন্ত আন্তরিক মনোভাব প্রকাশ করেছে। এবং তারা বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্বজনদের সাথে দেখা করার সুযোগ পেয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ এপ্রিল, ২০১৮/মাহবুব