বগুড়ার ধুনট উপজেলায় স্বামীর ঘর থেকে মহিমা খাতুন (২৮) নামে দুই সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালের দিকে ধুনট থানা থেকে মাহিমা খাতুনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত মহিমা খাতুন উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের নজুরুল ইসলামের স্ত্রী।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে নজরুল ইসলামের সাথে মাহিমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক বিভিন্ন বিয়য়াদি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এসব বিরোধের জের ধরে বিভিন্ন সময়ে মহিমাকে স্বামীর নির্যাতন সইতে হয়েছে। এ অবস্থায় তাদের দাম্পত্য জীবনে ছেলে ও মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। শুক্রবার বিকেলের দিকে পূর্ব বিরোধের সূত্র ধরে মহিমাকে মারধর করে নজরুল ইসলাম বাড়ির অদূরে বাজারে কেনাকাটার জন্য যায়। রাত ৯টার দিকে নজরুল বাড়ি ফিরে এসে শয়ন ঘরে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। এসময় তার ২ সন্তান বাড়িতে ছিল না।
সংবাদ পেয়ে শুক্রবার রাত ৩টার দিকে স্বামীর ঘর থেকে মহিমার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে স্বামী নজরুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
ধুনট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অস্বাভাকি মৃত্যু মামলা (ইউডি) রেকর্ড করে মহিমার লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মহিমার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়না তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া নিশ্চিত করে বলা সম্ভব না। তবে এ বিষয়টি খাতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার