রাঙামাটি জেলার কাপ্তাইয়ে ও সাজেকে পৃথক দু’টি অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৫৬টি বসতঘর ও ৩টি পর্যটন কটেজ পুড়ে গেছে। রবিবার রাতে জেলার কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের নারানগিরি বড় পাড়ায় মারমা পল্লী ও বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের নারানগিরি বড় পাড়ায় মারমা পল্লীর একটি ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ আগুন আশেপাশের বিভিন্ন বাড়ি-ঘরে ছড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে স্থানীয় এলাকাবাসী। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় মারমা পল্লীর সব ঘর আগুনে পুড়ে যায়। খবর পেয়েও দুর্গমতার কারণে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস পৌঁছাতে পারেনি বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এব্যাপারে রাঙামাটি কাপ্তাই উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ফায়ারম্যান মো.সারোয়ারুল আলম জানান, মারমা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের খবর আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পায়নি। যখন শুনেছি ততক্ষনে আগুনে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
কাপ্তাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তারিকুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লোকমুখে শুনেছি মারমা পল্লীতে আগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫৬টি কাচাঁঘর পুড়ে গেছে। এলাকা দুর্গম হওয়ায় ঘটনাস্থলে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছি।
অন্যদিকে পৃথক আর একটি ঘটনায় রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে পর্যটনে হঠাৎ অগ্নিকান্ডে ৩টি কটেজ পুড়ে গেছে। সোমবার মধ্যরাতে সাজেক ইউনিয়নের রুইলুই পাড়ায় এঘটনা ঘটে। কটেজগুলো হলো-গড়বা রিসোট, কাজলং রিসোট, সাজেক বিলাস। এসব কটেজ স্থানীয় এনজিও দ্বারা পরিচালিত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে পর্যটনে অর্থাৎ রুইলুই পাড়ার কাচালং রেস্ট হাউজের রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন মুহূর্তে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এ আগুনে পাশের গড়বা রেস্ট হাউজ ও সাজেক বিলাসে আগুন লেগে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুঠে আসে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও দিঘীনালা ফায়ার সার্ভিস। পরে তাদের যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় তারা। কিন্তু এর আগে তিনটি পর্যটন কটেজ সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। তবে কটেজে অবস্থানরত পর্যটকদের কোন ক্ষতি হয়নি বলে জানা গেছে। তিন কটেজের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
এঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দিঘীনালা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মেহেদী হাসান জানান, আমরা ধারণা করছি কাজালং গেস্ট হাউজের রান্নাঘরের আগুন থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। এলাকাটা দুর্গম আর আশে পাশে তেমন কোন পানির উৎস নেয়। তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে একটু কষ্ট হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/১৬ এপ্রিল ২০১৮/হিমেল