বরিশাল সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ভুয়া দাতা সাজিয়ে বায়নাচুক্তি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে ৪ প্রতারক। গত রবিবার বিকেলে তাদের আটক করে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। এরা হলো- জাগুয়া এলাকার এস্কেন্দার গাজী, হুমায়ুন কবির গাজী ও মো. ফরিদ এবং নলছিটির উপজেলার দপদপিয়া এলাকার আল আমিন মৃধা।
সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিস সূত্র জানায়, জাগুয়া এলাকার আদম আলীর স্ত্রী মেহেরুন্নেছার নামে ওই এলাকায় রেকর্ডীয় জমি রয়েছে। ওই জমি জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে উত্তর জাগুয়া এলাকার খাদিজা বেগমের ছবি ও আইডি কার্ড ব্যবহার করে তাকে দাতা সাজিয়ে মেহেরুন্নেছা ওরফে মেহেরনেগা নাম অন্তর্ভূক্ত করে পাওয়ার আমমোক্তারনামা নেয় এস্কেন্দার, হুমায়ুন ও আল আমিন। তারা ওই জমি বিক্রির জন্য জনৈক ফরিদসহ তিন জনের সাথে বায়না চুক্তি করেন। এ খবর জানতে পেরে মেহেরুন্নেছার ছেলে মজিবুর রহমান সাব রেজিস্ট্রি অফিসে জালিয়াতি চক্রের সৃষ্ট বায়না দলিল বাতিলের আবেদন করেন।
গত রবিবার জালিয়াত চক্র ভুয়া দাতাকে সাথে নিয়ে বায়না চুক্তি করতে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে যায়। তাদের দেয়া দলিলপত্র এবং মজিবুরের দেয়া দলিল পরখ করে দেখেন কর্মকর্তারা। এছাড়া মজিবুরের মায়ের ছবির সাথে আমমোক্তারনামা দেওয়া নারীর ছবির গড়মিল পাওয়া যায়। পরে পুলিশে খবর দেয় সাব রেজিস্ট্রি অফিস কর্তৃপক্ষ।
সাব রেজিস্ট্রার রফিকুল ইসলাম বলেন, ভুয়া দাতা সাজিয়ে আমমোক্তারনামা করিয়ে বায়না দলিল করার চেষ্টা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। বায়না দলিল বাতিল করে ৪ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
কোতয়ালী মডেল থানার এসআই সাইদুল ইসলাম জানান, অভিযোগ তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার