কানে রুমাল দিয়ে মোবাইল বেঁধে রেখে প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলছিল প্রেমিক। আর হাত দিয়ে সিলিং ফ্যানে বাঁধতে থাকে ফাঁসি দেওয়ার জন্য কাপড়। প্রেমিকা হয়ত জানতোই না অভিমানি প্রেমিক কথা বলার সাথে সাথে ফাঁসির প্রস্তুতিও নিচ্ছে। এক পর্যায়ে কথা বলতে বলতে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে ইকবাল খান নিরব(২০) নামে ওই প্রেমিক।
রবিবার বিকালে ফতুল্লার পাগলা বউ বাজার বটতলা এলাকায় এঘটনার পর ঝুলন্ত লাশ নামিয়ে নীরবের কানের কাছ থেকে রুমাল দিয়ে বাঁধা মোবাইলটি উদ্ধার করে পুলিশ। আত্মহননকারী ইকবাল খান নিরব ওই এলাকার নজরুল ইসলাম খানের তৃতীয় ছেলে।
নীরবের ভাই সোহেল জানান, নীবর মোবাইল পার্টসের ব্যবসা করত। সম্প্রতি যাত্রাবাড়ি এলাকার একটি মেয়ের সঙ্গে নীরবের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তার সঙ্গে সে প্রায় সময় মোবাইলে কথা বলতো। নীরবের আবদারে সেই মেয়ের বাসায় গিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে নাক ফুলও পরিয়ে দেয়া হয়। হঠাৎ তাদের মধ্যে কি হয়েছে জানিনা।
তিনি আরো জানান, আত্মহত্যার পূর্বে নীরব তার কানে কাপড় দিয়ে মোবাইল বেঁধে নিয়েছিল। পুলিশ এসে লাশ নামিয়ে নীরবের কান থেকে মোবাইলটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে অভিমান থেকেই আত্মহত্যা করেছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের (পিপিএম) জানান, ধারণা করা হচ্ছে প্রেমে ব্যর্থ হয়েই আত্মহত্যা করেছে। নিহতের কানে বাঁধা অবস্থায় একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন