সোমবার সকাল পৌনে ৯টা। ঘরের জানালা খুলে বাইরে তাকালে বোঝার উপায় নেই, তখন রাত না দিন। সারা নাটোর ঢেকে গেছে অন্ধকারে। সকালে প্রকৃতির এমন রূপ শেষ কবে দেখেছেন সেটা মনে করতে পারছেন কেউ। যেন সিঁদুরে মেঘ!
সোমবার সকালে এরকম কালো মেঘে ঢাকা অন্ধকার শহরের কয়েকটি ছবি সেলফোনে ধারণ করা হয়। ছবিতে দেখা যায়, রাস্তায় দু'একটি অটোরিক্সা লাইট জালিয়ে চলাচল করছে। এছাড়া চোখে পড়ার মতো তেমন মানুষ বা যানবাহনের দেখা নেই। মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে নাটোর শহরে। সেই সাথে হয়েছে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার পর থেকে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ অন্ধকার হতে থাকে এবং কিছুক্ষণের মধ্যে ঝড় শুরু হয়। বৈশাখের শুরু থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে কম-বেশি ঝড় হলেও বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ে কালবৈশাখী হানা দিলো শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে।
এদিকে, সোমবার ভোরে শুরু হওয়া ঝড়ে গাছ উপড়ে নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিয়াশ ইউনিয়নের জরিনা বেগেম টিনের ঘর ভেঙে পড়ে। নাটোরের বড়াইগ্রাম বনপাড়াসহ আশেপাশের এলাকায় শিলাবৃষ্টিসহ হালকা ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে সকাল থেকে। একই সময় বাগাতিপাড়া, নলডাঙ্গা ও লালপুরে বজ্রপাতসহ ব্যাপক শিলাবৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
শিলা বৃষ্টিতে হালতিবিল ও চলনবিলের ধান এবং আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/৩০ এপ্রিল, ২০১৮/মাহবুব