ভোলা শহরের ভোলাখালসহ ৫টি খালের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষে ভোলা পৌরসভা বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে খালগুলো খননের কাজ চলছে। আজ পৌরভবনের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে পৌরমেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এসব কথা বলেন।
এ সময় পৌর মেয়র জানান, স্বাভাবিক পানি প্রবাহ না থাকায় এবং দীর্ঘদিন ধরে ময়লা আবর্জনা ফেলায় ভোলাখালটি পানি শূন্য হয়ে আছে। এমন অবস্থায় গত ২৯ এপ্রিল মধ্যরাতে আগুন লেগে শহরের চকবাজার, মনিহারিপট্টি এবং খালপাড় রোডের অর্ধশতাধিক দোকান পুড়ে শতাধিক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। মেয়র বলেন, খালপাড়ে আগুন লেগেছে কিন্তু খালে অত্যধিক ময়লা আবর্জনা আর পলিথিন থাকায় পানির অভাবে আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদেরকে। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল খালের নাব্যতার সাথে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে যুক্ত করে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। যা কোনভাবেই যুক্তি সংগত নয়।
মেয়র জানান, সাড়ে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ ভোলা খালের মধ্যবর্তী সাড়ে ৪ কিলোমিটার পৌরসভার তত্ত¡ধানে রয়েছে। খালের বাকি অংশ পানিউন্নয়ন বোর্ডের অধিনে রয়েছে। পৌরসভার অধিনে ভোলা খালের যে অংশটুকু রয়েছে তার রক্ষণাবেক্ষণ ও সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য জলবায়ু ফান্ডের একটি প্রকল্পের আওতায় ৫ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। খালটির নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে অপর একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়া ভোলা পৌরসভার মধ্যে আরও ৪টি খাল পূনরুজ্জীবিত করার লক্ষে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের কাজ চলছে। চলতি বছরের মধ্যে এসব কাজ শেষ হলে ভোলা পৌরসভার আওতায় থাকা সকল খাল নাব্যতা ফিরে পাবে। আর তখন আগুন লাগার মত দুর্যোগ মোকাবেলা সহজতর হবে।
এ সময় মেয়র ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বিনা খরচে দোকানের ভবন নির্মাণের জন্য প্লান পাশ ও অনুমোদন দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি মেয়র বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকগণ ইচ্ছা করলে পৌরসভার সাথে অংশীদারীর ভিত্তিতে ভবন নির্মাণ করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভোলা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন আরজুসহ কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার