ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা থেকে রাজধানীর শনির আখড়া পর্যন্ত ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ২ মিনিট যানবাহনের চাকা ঘুরলে ২০ বসে থাকতে হচ্ছে একই স্থানে। আজ ভোর ৫টা থেকে ৪০ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে এ ভয়াবহ তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এ যানজট মহানড়ক থেকে বিভিন্ন শাখা সড়কের দেখা দিয়েছে।
যানজটের কারণে দুরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন প্রকারের যানবাহন রাস্তায় আটকা পড়ে আছে। এতে এ মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রীরা নানা বিড়ম্বনায় পড়তে বাধ্য হয়।
এ বিষয়ে কথা হলে, নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) প্রশাসন মোল্লা তাসলিম হোসেন জানান, আজ ভোর ৫টা থেকে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে এ যানজট ছড়িয়ে পড়েছে শনিরআখড়া পর্যন্ত। এখন থেমে থেমে যানবাহন চলছে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিন যাবত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার ভোর রাত থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানচলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এতে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগীয় জেলাগুলোর দুরপাল্লার যাত্রীবাহীবাসসহ শত শত যানবাহন রাস্তায় আটক পড়ে। এতে যাত্রীরা ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় আটকে পড়ে নানা বিড়ম্বনায় কাটাতে বাধ্য হন। রাতে যানজট নিরসনে অতিরিক্ত পুলিশ কাজ করলেও যানজট দুর করতে তারা ব্যর্থ হন।
সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকার হাজী নূর মোহাম্মদ জানান, তিনি ভোরে ফজরের নামাজ আদায় করে যাত্রাবাড়ি যান মাছের আড়তে। এসময় তিনি মাছ ক্রয় করে শনির আখড়া থেকে ১ ঘন্টা পায়ে হেটে শিমরাইল মোড়ে পৌছান বলে তিনি জানান।
জেলা ট্রাফিক পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) প্রশাসন মোল্লা তাসলিম হোসেন জানান, আজ ভোর ৫টা থেকে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে এ যানজট ছড়িয়ে পড়েছে শনিরআখড়া পর্যন্ত। এখন থেমে থেমে যানবাহন চলছে। যানজট নিরসনে জেলা ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার