দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির শ্রমিক ধর্মঘটের ৪র্থ দিনেও অচল অবস্থা কাটেনি খনিতে। তবে স্থানীয় প্রশাসন অচলাবস্থা কাটানোর চেষ্টা করছে বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার কর্মকর্তা-শ্রমিকদের সংঘর্ষের পর বুধবার শ্রমিকদের উপস্থিতি আরো বৃদ্ধি হয়েছে। শ্রমিকদের আন্দোলনের ফলে খনির স্বাভাবিক কার্য্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে।
শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে খনি এলাকার ভেতরে অবস্থিত বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শ্রমিকদের সাথে অনুষ্ঠিত প্রশাসনের সমঝোতা বৈঠকটি অমিমাংসিত অবস্থায় ভেঙ্গে যাওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শ্রমিকরা।
খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন বলেন, শ্রমিকরা আন্দোলনের নামে খনিতে কর্মরত ৩১০ জন বিদেশি নাগরীক ও ২শ জন বাংলাদেশি কর্মকর্তা কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে। খনির সদর দপ্তরের মধ্যে বসবাসকরা কর্মকর্তা কর্মচারীদের পরিবারের মধ্যে দেখা দিয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদিসহ খাদ্যর অভাব, অনেকে শিশু বাচ্চা রয়েছে, সেই শিশুদের খাদ্যও সংকট হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টায় খনি অভ্যন্তরে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সাথে প্রশাসনের একটি সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয। ফলে আন্দোলনরত শ্রমিকরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি বলেন শ্রমিকরা এক দিনেও আন্দোলন করতে চায় না। আমাদের ন্যায্য অধিকার পুরন করার জন্য ৯ মাস থেকে শ্রমিকরা কর্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে। কিন্তু তারা শ্রমিকদের দাবী পুরন করেনি তাই বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে রবিবার থেকে ১৩ দফা দাবীতে শ্রমিক ধর্মঘট কর্মসুচ পালন করে আসছে বড়পুকুরিয়া খনি শ্রমি কর্মচারী ইউনিয়ন ও খনির কারনে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীরা।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন