বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- ছেলের চুরির অভিযোগে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৫
- এই পরিকল্পিত প্রহসন প্রত্যাখ্যান করলাম : ফেসবুক পোস্টে আবিদ
- দুর্ঘটনায় পাঁচজন মৃত্যুর ঘটনায় কাভার্ড ভ্যান চালক গ্রেফতার
- চট্টগ্রামে পিন্টু হত্যা মামলায় সাত আসামি রিমান্ডে
- ঢাবির প্রবেশমুখে অযথা ভিড় না করতে ডিএমপির অনুরোধ
- সেন্টমার্টিনে ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবাসহ ৬ পাচারকারী আটক
- সিরাজগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
- চার বছরে ভারতের তিন প্রতিবেশী দেশে গণঅভ্যুত্থান, সরকারের পতন
- নেপালে আটকে পড়া জাতীয় ফুটবল দলের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে তৎপর সরকার
- নেপালের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ
- বিদ্যুৎকেন্দ্রে যান্ত্রিক গোলযোগ, সারা দেশে লোডশেডিং
- এশিয়া কাপ চ্যালেঞ্জিং হবে, তবে শতভাগ দিতে প্রস্তুত দল : লিটন
- কাতারে ইসরায়েলি হামলায় দু’জন নিহত, দাবি রিপোর্টে
- কাতারে ইসরায়েলের হামলায় জাতিসংঘের নিন্দা
- ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল
- ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
- নেপালের আকাশে ৫৫ মিনিট চক্কর দিয়ে ঢাকায় ফিরলো বিমান
- ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোনো সম্ভাবনা দেখি না : ঢাবি উপাচার্য
- এসএমই খাত দেশের জিডিপিতে প্রায় ৩০ শতাংশ অবদান রাখছে
- দোহায় ইসরায়েলি হামলার ‘কঠোর নিন্দা’ জানাল কাতার
পাবনার শিশু নূর হত্যা
প্রধান আসামির ফাঁসি, একজনের যাবজ্জীবন
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী :
অনলাইন ভার্সন

পাবনার চাটমোহর উপজেলার চার বছরের শিশু আব্দুল্লাহ্ আল নূর হত্যামামলার প্রধান আসামিকে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া মামলার অন্য এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি তিন আসামি পেয়েছেন খালাস। আজ দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরীন কবিতা আখতার চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম সোহেল বিশ্বাস। তিনি চাটমোহর পৌরসভার চৌধুরীপাড়া মহল্লার নজরুল ইসলামের ছেলে। আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম আবদুস সামাদ। সম্পর্কে তিনি নিহত শিশুর ফুপা।
নিহত শিশু নূর ছিল জন্মসূত্রে গ্রীসের নাগরিক। গ্রীস থেকে ফেরার পর তার বাবা আবুল হোসেন চাটমোহর পৌরসভার হারান মোড় মহল্লায় দোতলা একটি বাড়ি তৈরি করে বসবাস শুরু করেন। এই বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকতেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সোহেল বিশ্বাস। ২০১৪ সালের ২৫ জুন শিশু নূর নিখোঁজ হয়। সেদিন মুঠোফোনের মাধ্যমে নূরের বাবার কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এর দুই দিন পর স্থানীয় ভাদড়া এলাকার জলমগ্ন একটি আবাদি জমি থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় নূরের মাথা, দুটি হাত ও নাড়িভুড়িবিহীন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিন আবুল হোসেন ছেলের প্যান্ট এবং মাদুলি দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন। পুলিশ এদিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আবুল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া সোহেল বিশ্বাসকে আটক করে। এ সময় তার ঘর থেকে রক্তমাখা দা, বটি, চাকু, স্কুলব্যাগ ও পলিথিন উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা সেদিন সোহেল বিশ্বাসকে প্রধান আসামি করে তার স্ত্রীসহ আটজনের বিরুদ্ধে চাটমোহর থানায় হত্যামামলা দায়ের করেন। পরে অভিযোগপত্র থেকে তিনজনকে বাদ দেওয়া হয়। মামলাটি প্রথমে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ বিশেষ ট্রাইব্যুনালে চলে। পরে বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি রাজশাহী দ্রুত বিচার টাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
দ্রুত বিচার টাইব্যুনালের বিচারক সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ এবং মামলার নথি পর্যালোচনা সাপেক্ষে হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৪ বছর পর মামলার রায় ঘোষণা করলেন। রায় ঘোষণার সময় মামলার পাঁচ আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আদালতের বিশেষ পিপি এন্তাজুল হক বাবু।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর