টিউবওয়েলের পানিও স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। এতে আর্সেনিক, আয়রণসহ নানা ক্ষতিকর পদার্থ থাকে। আর বোতলজাত মিনারেল ওয়াটার নামের পানি তো আরো বেশি ভয়াবহ। প্লাস্টিক বোতলের প্লাস্টিক পানির সাথে মিশে তা পানিকে অনিরাপদ করে তোলে। এর থেকে পুকুর ও বৃষ্টির পানি ফুটিয়ে পান করা নিরাপদ। এদিকে অনিরাপদ খাদ্য ও ভেজাল খাদ্যের কারণে দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে। এতে স্বাভাবিক মৃত্যু এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
আজ বৃহস্পতিবার কমিল্লার মনোহরগঞ্জে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে একথা বলেন বাংলাদেশ অ্যাকোয়াকালচার অ্যালাইয়ান্সের সভাপতি মাকসুদুর রহমান। মৎস্য ও মৎস্য পণ্যের কোডেক্স এ্যালিমেন্টারিয়াস স্ট্যার্ন্ডাডস শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাকোয়াকালচার অ্যালাইয়ান্স (বিএএ) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল(বিপিসি)।
এতে সহায়তা করে মৎস্য অধিদপ্তর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক(অবঃ) কবির আহমেদ। আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন আঞ্চলিক মৎস্য কর্মকর্তা মো. নুরুল আমিন, বিপিসি’র নির্বাহী আবুল কালাম পাটোয়ারী, বিএএ’র নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুছ প্রমুখ। সেমিনারে স্থানীয় মৎস্য চাষী, মৎস্যজীবী, স্কুল- মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষিকা, মসজিদের ইমাম এবং জনপ্রতিনিধিসহ ১০০জন অংশ গ্রহণ করেন। সেমিনারে খাদ্য নিরাপত্তা, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, বাজারজাতকরণ, বিতরণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সেমিনারে বক্তারা বলেন-সব ধরনের পানিতেই ১০টি হেভি মেটাল বা ডার্টি ডজন নামের রাসায়নিক বিষ পদার্থ আছে। তা নিশ্চিত হয়ে ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে ক্যান্সারের মতো নানা ঘাতক মরণ ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে হবে। এসব বিষ পদার্থ সাধারণ ১০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায়ও বিনাশ হয় না।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার