ফরিদপুরের নগরকান্দার তালমা নাজিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্র আলাউদ্দিন মাতুব্বর অন্তরের খুনিদের বিচারের দাবীতে শুক্রবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা অ্যাডভোকেট জামাল হোসেনের নেতৃত্বে কয়েক হাজার এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি পাগলপাড়া গ্রাম থেকে বের হয়ে বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিন করে পাগলপাড়া বাজারে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন মিয়া, জেলা পরিষদের সদস্য কামাল হোসেন, নিহত অন্তরের মা জান্নাতি বেগমসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সমাবেশ থেকে বক্তারা অন্তরের খুনের সাথে জড়িত মুলহোতাদের আটক করে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানান।
এদিকে, আলাউদ্দিন মাতুব্বর অন্তরের খুনের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার অভিযুক্ত আসামি মাহবুবুল আলম। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগরকান্দা থানার এসআই কবির হোসেন জানান, মামলার অন্যতম আসামি মাহাবুবুল আলম অন্তর হত্যাকেণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। সেখানে সে সহ আরও চারজন জড়িত ছিল।
গত ৭ জুন রাত আটটার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি স্কুল ছাত্র অন্তর। পরদিন অন্তরের মায়ের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করা হয়। পরে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেবার পরও অন্তরকে ফেরত দেয়নি অপহরনকারীরা। এ ঘটনায় অন্তরের মা বাদী হয়ে নগরকান্দা থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার সূত্র ধরে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে আটক করা হয় ৩ জনকে। অপহরণকারীদের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে আটক করা হয় মাহাবুবুল ও তার ভাই জোবায়ের আলমকে আটক করা হয়। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরেই বুধবার রাত ১২টার দিকে তালমা ইউনিয়নের মানিকদী গ্রামের চকের মধ্যে কাটাখালী খালপাড়ে মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় অন্তরের লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, অপহরনের পর রাতেই তাকে গলায় গামছা পেচিয়ে হত্যা করে মাটিতে পুতে রাখে হত্যাকারীরা। পরে তারা মুক্তিপণ চেয়ে অন্তরের মায়ের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। অন্তুরের খুনের বিষয়ে আটককৃতদের রিমান্ডে নিয়ে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তবে তদন্তের স্বার্থে তা বলতে রাজী হয়নি পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/ ২৯ জুন ২০১৮/ ওয়াসিফ