বগুড়ার ধুনটে ছাত্রলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩২) হত্যা মামলায় ১৬ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। আজ রবিবার সকালে বগুড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ওই ১৬ আসামি হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক আসামিদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিকাল ৩টায় বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আলহাজ্ব খায়রুল বাশার মিলু এ তথ্য জানান।
আসামিরা হলেন, গোসাইবাড়ী গ্রামের মৃত নুরুর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), একই গ্রামের মৃত মোজার ছেলে বিল্পব (৩৫), খলিলুর রহমানের ছেলে কায়েস (২২), ইসমাইল হোসেনের ছেলে রিকো (৩০), মৃত মোত্তালেবের ছেলে হিমোন (২৭), মোখলেছারের ছেলে তোফাইল (২২), আমিনুল ইসলামের ছেলে সম্পদ (২৩), সম্প্রাট (২০), রুবেল মিয়ার ছেলে নিরব (২১), সাইফুলের ছেলে মানিক (২৪), মৃত মহসিনের ছেলে সাগর (৩৫), মৃত মোজার ছেলে খলিল (৪৮), মৃত মোফাজ্জলের ছেলে মোত্তালেব (৩৮), মৃত রাঙ্গার ছেলে পিয়াল (২৬), মৃত খোকনের ছেলে টনি (৩২) ও পূর্ব গুয়াডহুরি গ্রামের আয়নালের ছেলে বেলাল (২৮)।
বগুড়ার ধুনট থানায় দায়েরকৃত মামলা ও স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের গোসাইবাড়ী ফকিরপাড়া এলাকার মৃত খোকন হাজীর স্কুল পড়ুয়া মেয়ের সাথে গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রাঙ্গার ছেলে রুমনের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। একপর্যায়ে তারা গোপনে বিয়ে করে। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হলে রফিকুল ইসলাম রাঙ্গা ওই প্রেমের বিয়ে অস্বীকার করে। এবিষয় নিয়ে গত ১৩ জুন গোসাইবাড়ী বাজারে রফিকুল ইসলাম রাঙ্গা ও খোকন হাজীর দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে রফিকুল ইসলাম রাঙ্গার ভাগিনা ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি এনজিও কর্মী আরিফুল ইসলাম আরিফ সহ তিন জন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন আরিফকে গুরুতর অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় রফিকুল ইসলাম রাঙ্গা বাদী হয়ে ১৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিকে গত ১৮ জুন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরিফুল ইসলামের মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই আসামীরা পলাতক ছিল।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার