এইচআইভি রোগের প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় সব পক্ষের সমন্বিত ব্যবস্থাপনা এবং সেবার কোনো বিকল্প নেই। রোগটি প্রতিরোধে দরকার সবার সম্মিলিত প্রয়াস।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের কনফারেন্স হলে আয়োজিত ‘এইচআইভি বিষয়ক সহায়তা ও পরিষেবা বৃদ্ধি সংক্রান্ত সমন্বয় বৈঠক’ শীর্ষক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
চমেক হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রফিকুল মাওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় এইডস/এসটিভি কন্ট্রোল কর্মসূচির পরিচালক ডা. মো. খায়রুজ্জামান, চমেক হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী, সহকারি পরিচালক (প্রশাসন) ডা. কাজী সাইফুল ইসলাম, সহকারি পরিচালক (অর্থ ও ভান্ডার) ডা. দেব প্রসাদ চক্রবর্তী, সহকারি পরিচালক (সংযুক্ত) ডা. রুমা ভট্টচার্য, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. ফরিদুল আলম, মহিলা বিষয়ক উপ পরিচালক আতিয়া চৌধুরী ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া অফিসার আবদুল বারি।
সভায় বক্তারা, এইচআইভি (হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস), যা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আক্রমণ করে এবং তাকে দুর্বল করে দেয়। এর ফলে মানুষ বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা হারায় এবং শেষ পর্যন্ত এইডস বা অ্যাকোয়ার্ড ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম-এর সৃষ্টি হয়, যা একটি মারাত্মক রোগ। এইচআইভি প্রধানত রক্ত, বীর্য, যোনিপথের তরল এবং বুকের দুধের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই এইচআইভি রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ