বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- তিন দফা দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
- একসঙ্গে একাধিক রিল যুক্ত করার ফিচার ইনস্টাগ্রামে
- নির্বাচনের রোডম্যাপ চূড়ান্ত, ঘোষণা হতে পারে আজ
- সুস্থভাবে বাঁচতে হলে হাসতে শিখুন
- একক থেকে ছিটকে দ্বৈতে লড়বেন ৪৫ বছরের ভেনাস
- বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ক্যারিয়ার সেরা স্থানে গ্রিন
- কুয়েট শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
- আগারগাঁও ‘ব্লকেড’ কর্মসূচির ঘোষণা শেকৃবি শিক্ষার্থীদের
- উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় বুয়েটের সব পরীক্ষা স্থগিত
- রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
- সারাদেশে বিশেষ পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার ১৬৬২
- রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউ শুনানি পিছিয়ে ৪ সেপ্টেম্বর
- পুঁজিবাজার: সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় চলছে লেনদেন
- আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু আজ
- দুপুরের মধ্যে ৬ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
- প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করলেন ডিএমপি কমিশনার
- দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা
- তাইওয়ানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
- রাশিয়ার মিত্রদের ওপর নিষেধাজ্ঞা চান অধিকাংশ মার্কিন নাগরিক
- শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা অনাকাঙ্ক্ষিত : ফাওজুল কবির
ছয় বার প্রতিশ্রুতি, তবুও নেই অগ্রগতি
রায়পুরে মেঘনার ভাঙন ঠেকাতে মানববন্ধন
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি:
অনলাইন ভার্সন

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নে মেঘনা নদীর ভাঙন রোধে আজ দুপুরে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় লোকজন। গত এক সপ্তাহে প্রায় শতাধিক ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙন রোধ করতে না পারলে বিলীন হয়ে যাবে আরো পাঁচ শতাধিক ঘর-বাড়ি, মসজিদ ও বিদ্যালয়। মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা লোকজন অবিলম্বে মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করার জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। মানববন্ধনে স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
প্রায় এক যুগ ধরে ভাঙছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরকাছিয়ার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদী। সরেজমিনে এসে পানিসম্পদ মন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু প্রায় তিন বছরেও ওই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি। এর আগেও স্থানীয় সাংসদ ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী পাঁচবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কেউই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৯ মে প্রতিমন্ত্রী লে. কর্ণেল (অব.) নজরুল ইসলাম ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে আসেন। পরে তাঁরা দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে পথসভায় মেঘনা নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। বর্ষা মৌসুমের আগেই চরকাচিয়ার ভাঙ্গন রোধে কাজ শুরু হবে বলে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী দু'জনেই ওই সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর আগেও চারবার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও চারদলীয় জোট সরকারের স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক একবার ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রতিশ্রুতি দেন।
দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ছালেহ মিন্টু ফরাজি জানান, মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে গত চাঁর-পাঁচ বছরে প্রায় ৩০০ একর আবাদি জমি ও দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। ভূমিহীন হয়েছে প্রায় ৫০০ পরিবার। নদী ভাঙ্গনে চর কাছিয়া গ্রাম বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এখনই ভাঙ্গন ঠেকাতে ব্যবস্থা না নিলে ভূমিহীন হয়ে পড়বে কমপক্ষে পাঁচ হাজার মানুষ।
কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জানান, ১২ বছর ধরে স্থানীয় এমপি ও সরকারের অনেক কর্মকর্তা সরেজমিনে এসে নদী ভাঙ্গনের চিত্র দেখেন। কিন্তু ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সর্বশেষ পরিদর্শনে আসা মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিও ফাইল বন্দী হয়ে আছে। প্রতিশ্রুতিটি বাস্তবায়ন হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে আছেন তারা।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাষ্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার বিএসসি বলেন, মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী নদীভাঙ্গন পরিদর্শনে এসে প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় আশার আলো দেখেন ভাঙ্গনের হুমকিতে থাকা মানুষগুলো। কিন্তু মন্ত্রীদের প্রতিশ্রুতির আড়াই বছরেও কাজ শুরু না হওয়ায় হতাশ হন তাঁরা। এর আগেও এক সাংসদ ও প্রতিমন্ত্রী ভাঙ্গন ঠেকানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ভাঙ্গন রোধের জন্য পাউবোর প্রধান কার্যালয়ে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে একটি প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। এখনো প্রকল্পের অনুমোদন পাওয়া যায়নি। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু করা হবে।
এই বিভাগের আরও খবর