বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার ভেলুরচক গ্রামের আব্দুল মজিদ (৬০) পটল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। বাজারে দাম থাকায় পটল বিক্রি করে তিনি নিজ সংসার পরিচালনা করছেন। পাশাপাশি কিছু টাকা জমিয়ে জমি কেনার স্বপ্ন দেখছেন পটল চাষি মজিদ।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের ভেলুরচক গ্রামের রবিয়া সরদারের ছেলে আব্দুল মজিদের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিলো না। পৈত্রিক সম্পত্তি বলতে নিজের বাড়ি ছাড়া আর তেমন কিছু নেই। আর্থিট অনটনে তার সংসার পরিচালনা কষ্ট ছিল। নানা উপায় করে তিনি নিজ সংসার পরিচালনা করতেন।
পোটল চাষি আব্দুল মজিদ জানান, এক সময় তার সংসারে চরম অভাব ছিলো। এক ছেলে মেয়ে পরিবার নিয়ে এই অভাব অনটনের বাজারে সংসার চালানো তার পক্ষে দুস্বার্ধ্য হয়ে পড়ে। এলাকার মুরব্বিদের পরামর্শে তার গ্রামের পাশের গ্রামে আলোহালী মাঠে প্রায় ১২ হাজার টাকা বিঘা দরে জমি পর্তন নেন। তার ১১ শতাংশ জমিতে পটল চাষ করেন। বাকি জমিতে বিভিন্নজাতের সবজি চাষ করেন। পটলের জমিতে ২৫ জোড়া (চারা), মাঁচা তৈরীর সুতা, বাঁশ ক্রয় ও শ্রমিক সহ তার প্রায় ৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
কার্তিক মাসে পটল জমি থেকে উত্তোলন করে তা বিক্রি শুরু করেন। এরমধ্যে সে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার পটল বিক্রি করেছেন। আরো পটল বিক্রি করবেন প্রায় ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে প্রায় ২ মন করলা বিক্রি করে আসছেন। স্থানীয় কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে এ পটল বিক্রি করেন।
তিনি জানান, কিছু টাকা জমিয়ে নিজের একটা জমি কেনার স্বপ্ন আছে তার। এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে এখন হাড়ভাঙ্গা শ্রম দিয়ে নিজ সংসারে আর্থিক গতি ফিরিয়ে এনেছেন।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোস্তফা কামাল হোসেন জানান, পটল চাষ এখন বছরে ২ বার হচ্ছে। ফলে প্রায় সারা বছরই বাজারে পটল পাওয়া যাচ্ছে। এ এলাকার মাটির উর্বরতা ভালো থাকায় পটল চাষ বেশ ভালো হচ্ছে। ফলে অনেকেই এই পটল চাষ করে এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার