আশুলিয়ায় একটি শ্রমিক কলোনীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসময় আগুনে ওই কলোনীর ১৪টি কক্ষ এবং ভিতরে থাকা সমস্ত মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বুধবার দুপুুরে আশুলিয়ার বাংলাবাজার গোমাইল এলাকার ইছাহাক মন্ডলের মালিকানাধীণ শ্রমিক কলোনীতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের দু'টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে কক্ষগুলো বন্ধ থাকায় এ ঘটনায় তাৎক্ষনিকভাবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে হঠাৎ করে গোমাইল এলাকার ইছাহাক মন্ডলের কলোনীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই কলোনীর শ্রমিকরা কারখানায় থাকায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুন লাগার সাথে সাথে স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। কিন্তু ঘরগুলো বন্ধ থাকায় আগুন ভিতরের আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়। একপর্যায়ে আগুন বাড়তে থাকলে পাশের একটি তৈরি পোশাক কারখানার সহযোগীতায় প্রায় আধ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন স্থানীয়রা।
শ্রমিক কলোনীর ভাড়াটিয়া লিমন ও আমিনুল ইসলাম বলেন, সকালে প্রতিদিনের মতো কাজে চলে যাই। দুপুরে জানতে পারি আমাদের ভাড়া বাসায় আগুন লেগেছে। দ্রুত বাসায় এসে দেখি ঘরের ভিতরের থাকা টাকা পয়সাসহ সব জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। এদিকে গত মঙ্গলবার বেতন পেয়েছি। সামনে ঈদ এখনও মুদি দোকানের টাকা পরিশোধ করতে পারিনি। এখন কিভাবে কি করবো বলেই তারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
শ্রমিক কলোনীর ম্যানেজার মোঃ আমীরুল জানান, দুপুর ১১টার দিকে হঠাৎ শ্রমিক কলোনীতে আগুনের সুত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টি জানানোর পর তারা আসতে দেরি করে। এসময় উপায় না পেয়ে পাশের গার্মেন্টসের অগ্নিনির্বপক দলের সহযোগীতায় এলাকাবাসীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু ততক্ষনে শ্রমিক কলোনীর ছোট-বড় মিলে ১৪টি কক্ষসহ প্রায় পঁচিশ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতির হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুল হামিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আগুনের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই একটি তৈরি পোশাক কারখানার অগ্নিনির্বাপক দলের সহযোগীতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন স্থানীয়রা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। তবে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/ ৯ আগস্ট ২০১৮/ ওয়াসিফ