বাগেরহাটের চিতলমারীতে একটি সরকারি খাল ও কার্লভাট বন্ধ করে ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে এক প্রবাসীর বিরুদ্ধে। গুরুত্বপূর্ণ ওই খাল ও কার্লভাট বন্ধ করায় সুরশাইল ও কুরমনি গ্রামের অর্ধশত চিংড়ি ঘের এবং দেড় শতাধিক পরিবার সামন্য বৃষ্টিতে প্লাবিত ও স্থায়ী জলাবদ্ধতার মুখোমুখি হয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রামবাসিরা সরকারি খাল ও কার্লভাট বন্ধের প্রতিকার চেয়ে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন।
এলাকাবসীর আবেদনপত্র সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলার সুরশাইল ও কুরমনি গ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত ফড়িয়াবাড়ির সরকারি খাল ও কালভার্ট বন্ধ করে তপন দাস নামের এক প্রবাসী পাঁকা ভবন নির্মাণ করছেন। কুরমনি ও সুরশাইল বিলের পানি এই ফড়িয়াবাড়ির খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে থাকে। ফলে এই খাল ও কালর্ভাটটি বন্ধ করলে দুই গ্রামের অর্ধশত চিংড়ি ঘের ও দেড়শতাধিক পরিবার সামন্য বৃষ্টিতে প্লাবিত ও স্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার হবেন। খালটি এলাকার কৃষকদের চাষাবাদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। গ্রামীবাসীরা সমস্যার কথা তুলে ধরলে প্রবাসী তপন দাসের লোকজন তাদের উপর চড়াও হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
কুরমনি গ্রামের প্রবীণ ব্যাক্তি বিমল বিশ্বাস, কৃষক রেজাউল দাড়িয়া, সুরশাইল গ্রামের চিংড়ি চাষি সুধাংশু মন্ডলসহ অনেকে জানান, ব্রিটিশ আমল থেকে কুরমনি ও সুরশাইল বিলের পানি এই ফড়িয়াবাড়ির খাল দিয়ে নদীতে প্রবাহি হয়। খালটি এলাকার কৃষকদের চাষাবাদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রবাসী তপন দাসের শ্বশুর নিত্য রঞ্জন দাস জানান, কুরমনি গ্রামের শিবনাথের কাছ থেকে তার জামাতা ৫ শতক জমি কিনেছেন। ওই জমির উপর ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু সাঈদ জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন অবস্থাতেই সরকারি খাল বন্ধ করা যাবে না।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার