কক্সবাজারের টেকনাফে দেশীয় তৈরী এলজি, একনলা বন্দুক, চার রাউন্ড কার্তুজ ও ৭ হাজার ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা ডাকাত জহির আহমদকে(৩৫) আটক করেছে পুলিশ। সে টেকনাফ নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের ই-ব্লকের ২০৫ নং রুমের হোছন আহাম্মদের ছেলে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে তারই নিদের্শে পরিদশর্ক (অপারেশন) শরীফ ইবনে আলমের নেতৃত্বে উপ-পরিদশর্ক (এসআই) নাজিম, সজীব ও সুব্রতসহ একদল পুলিশ হ্নীলা লেদা ক্যাম্পের ডি ব্লকের ২০৫ নং রুমের সাহাব উদ্দীনের বসতবাড়ির চালের উপর পলিটিন মোড়ানো অবস্থায় দেশীয় তৈরি একটি এলজি, একটি একলনা বন্দুক, চারটি কার্তুজ ও ৭ হাজার পিস ইয়বা উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি আরো বলেন, গত বুধবার টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প পুলিশ ইনর্চাজ কবির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যদের একটি যৌথ টিম হ্নীলা জাদিমুরা শালবাগান নতুন রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ের কাছাকাছি এলাকায় একদল ডাকাত অবস্থান করার গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটক রোহিঙ্গা ডাকাত জহিরকে টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে রোহিঙ্গা ডাকাত জহিরের স্বীকারোক্তিতে টেকনাফ থানা পুলিশের টিম হ্নীলা লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, কার্তুজ ও ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, আটক ডাকাত জহির চিহ্নিত রোহিঙ্গা ডাকাত নুরুল আলমের সহযোগী। এই রোহিঙ্গা ডাকাত অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে মাদক ব্যবসা, ডাকাতিসহ অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত ছিল। আটক ডাকাতের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করে কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হবে। তবে স্থানীয় ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় আইন-শৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের নজরদারীর পাশাপাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার