হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে খাল দখল করে এলাকাবাসীর জমি চাষাবাদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে আমীর খানি, চানপাড়া ও পাইকপাড়া মহল্লার কৃষকরা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। আজ দুপুরে তারা এই বিক্ষোভ প্রদর্শন শেষে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা প্রশাসন এবং থানায় স্মারকলিপি প্রদান করে।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অফিস সহকারী মোবারক হোসেন। এসময় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বক্তৃতা করেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আহমদ লস্কর, স্নান সর্দার আমজাদ হোসেন, লেচু মিয়া, মোশারফফ হাসান, ইউপি সদস্য মনফর আলী, শেখ নুরুল হক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন-আমিরখানি মহল্লার প্রভাবশালী ফুল মিয়া ও মোতাহের মিয়া বানিয়াচংয়ের হাওর এলাকায় সুটকি প্রকল্পের সানখলা থেকে ঘাগড়াকোনা পর্যন্ত খালটি সম্পূর্ণভাবে দখল করে নেয়। ফলে বর্ষা মওসুমের পর হেমন্ত মওসুমে খালের আশপাশে থাকা তিন মহল্লার প্রায় ৬ হাজার লোকের ইরি-বোরো জমি চাষাবাদ বিঘ্নিত হয়। স্থানীয় কৃষকরা এর প্রতিবাদ করায় প্রভাবশালীরা কৃষকদের নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। কৃষকরা দাবি করেন প্রায় ১২ বছর ধরে প্রভাশালীরা এই খাল দখল করে রাখায় কৃষকদের হাজার হাজার টন ধান উৎপাদন ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও ফুল মিয়া আমীর খানি মহল্লার সর্দার থাকাকালীন সময় ফুল মসজিদের বিপুল পরিমান টাকা আত্মসাত করেন। এলাকাবাসী ও কৃষকরা ফুল মিয়া ও মোতাহের মিয়া বিরুদ্ধে কোন প্রকার প্রতিরোধ গড়ে তুললেই তারা তাদের উপর মামলা, মামলাসহ নানা ভাবে নির্যাতন শুরু করে। এমনকি ফুল মিয়া গং এলাকার মুরুব্বীয়ানদের মানহানি করার জন্য স্থানীয় সংবাদপত্রে মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন করায়।
এ অবস্থায় এলাকাবাসীরা তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ও কৃষকরা আগামী মওসুমে তাদের ইরি-বোরো জমির চাষাবাদ নিশ্চিত ও প্রভাবশালীদের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পরে থানা বানিয়াচঙ্গ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার