বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারত সব ধরনের সহযোগিতা করছে। ইতোমধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ২৫০টি গৃহ নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এছাড়াও মিয়ানমারের মংডু জেলার ক্যিং সং গ্রামে আরও ৫০ টি বাড়ির ভিত্তি নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
আজ দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও জ্বালানি তেল বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শ্রিংলা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর থেকে ভারত বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় দফা ত্রাণ সামগ্রী দেয়ার পর এবার তৃতীয় দফা হিসাবে কেরোসিন, স্টোভ বিতরণ করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের জ্বালানীর কথা বিবেচনা করে আজকে ১১ লাখ লিটার কেরোসিন, ২০ হাজার স্টোভ বিতরণ করা হচ্ছে। ২০ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারকে একটি করে স্টোভ (চুলা) ও ১০ কেজি করে কেরোসিন বিতরণ করা হচ্ছে।
এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রানালয়ের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সচিব মো: শাহা আলম, কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সভাপতি হাফিজ আহমেদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
জ্বালানি তেল বিতরণকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রানালয়ের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকটের পর থেকে ভারত আমাদের পাশে রয়েছে। ইতোপূর্বে ভারত রোহিঙ্গাদের শিশু খাদ্য, চাল, ডাল, বর্ষাকালে রেইনকোট, গামবুট সহ বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। কিন্তু এবার আমাদের অনুরোধে জালানি তেল ও স্টোভ সাহায্য করেছে। এজন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এর আগে সকালে কক্সবাজার বিমান বন্দর হয়ে কক্সবাজার উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌছেন ভারতীয় ১০ সদস্যে’র প্রতিনিধি দল।
ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন, চট্টগ্রামের দ্বিতীয় সচিব শুভাসিশ সিনহা জানান, ১০ সদস্যে’র প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা’। প্রতিনিধি দলটি পরিদর্শন করার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের মাঝে বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।
উলেখ্য যে, গত বছরের ২৫ আগষ্টের পর থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমার সেনাদের নির্যাতনে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ১২ লাখের মতো। এই বিশাল সংকটের মধ্যে বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠালেও কোন সময় প্রতিনিধি পাঠায়নি ভারত। তাই ভারতীয় প্রতিনিধি দলের এ সফরের মধ্যেদিয়ে রোহিঙ্গা সংকট নিরসন প্রক্রিয়া আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান