দলীয় কোন্দলে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই নেতা খুনের ঘটনায় হত্যা ও অস্ত্র আইনে দুটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে। উভয় মামলার প্রধান অসামি ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুর ফকির(৫০)। বৃহস্পতিবার রাতে অস্ত্র আইনে ও নিহত যুবলীগ নেতা শুকুর শেখের ভাই ফারুক আহমেদ বাদি হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
ঘটনার ৪ দিন পর দায়ের হওয়া মামলা দুটিতে মোট ৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান আসামিসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপর নিহত আওয়ামী লীগ নেতা আনছার দিহিদারের পরিবারের পক্ষ হতে পৃথক একটি হত্যা মামলা দায়ের এর প্রস্তুতি চলছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
শুকুর হত্যা মামলার বিবরনে বলা হয়েছে, ‘অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসীরা কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হাত-পা চুরমার করে ফেলে। রগ কেটে দেয়। এর পরে চেয়ারম্যান নিজেই তার শর্টগান দিয়ে দুই রাউন্ড গুলি করে হত্যা করে শুকুর শেখকে। পূর্ব শত্রুতার কারনে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়’।
জোকা গ্রামের মৃত মোসলেম আলী শেখের ছেলে নিহত যুবলীগ নেতা শুকুর আলীর একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। নাম নিশাত তাবাস্সুম। বয়স ২ বছর। স্ত্রী কানিজ নাদিরা(২৫) বাগেরহাট পিসি কলেজ থেকে ২০১৫ সালে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে অনার্স-মাস্টার্স পাস করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর