'দক্ষিণ এশিয়ার' সবচেয়ে বড় দুর্গাপূজা মণ্ডপ ব্যক্তি উদ্যোগে বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের সিকদার বাড়িতে প্রস্তুত করা হচ্ছে। গত ৮ বছর ধরে লিটন সিকদার নামে এক ব্যবসায়ী মহা ধূমধামে দুর্গাপূজার আয়োজন করে আসছেন। প্রতিবছর সেখানে প্রতিমার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত বছর ছিল ৬৫১টি প্রতিমা। এবছর এই মণ্ডপে ৭০১টি প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়া বাগেরহাটে এবার জেলায় ৬০৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাগেরহাটের মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। ভাষ্কর শিল্পীরা রাতদিন ব্যস্ত আছেন প্রতিমা তৈরির কাজে। জেলার অধিকাংশ মণ্ডপে মাটির কাজ শেষে ভাষ্কর শিল্পীরা প্রতিমায় রং এর কাজ করেছেন।
বাগেরহাট সদরের কাড়াপাড়া ইউনিয়নের কাড়াপাড়া গ্রামের রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের সার্বজনীন পূজা মন্দির, চুলকাঠি বাজারের বণিকপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দির, পোলঘাট সার্বজনীন পূজা মন্দির এবং ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের বেতাগা মমতলা সার্বজনীন পূজা মণ্ডপগুলোতে বেশি সংখ্যক প্রতিমা তৈরির প্রতিযোগিতা চলছে।
বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের সিকদার বাড়িতে ব্যবসায়ী লিটন সিকদার ব্যক্তি উদ্যোগে এত বড় আয়োজন করেছেন। তিনি দাবি করেছেন এটি দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় দুর্গাপূজার মণ্ডপ হবে।
তিনি বলেন, এবারও তাদের সিকদার বাড়িতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ রামায়ণ ও মহাভারতের চারযুগের দেবদেবীর নানা কাহিনী অবলম্বনে ৭০১টি প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। গত পাঁচ মাস ধরে ১৫ জন কারিগর তাদের নিপূণ হাতে প্রতিমা তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন। শেষ সময়ে রং তুলির কাজ পুরোদমে চলছে। বাগেরহাটে দুর্গা উৎসব মানেই সিকদার বাড়ির দুর্গা পূজা।
বাগেরহাট পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের সিকদার বাড়ির সবচেয়ে বড় মণ্ডপসহ জেলার শারদীয় দুর্গাৎসবের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাগেরহাট জেলায় ৬০৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ৯ অক্টোবর মহালয়ার মধ্যে দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাৎসবের শুভ সূচনা হবে। দেবী দুর্গা এবছর ঘোড়ায় চড়ে আসবেন আর যাবেন দোলায় চড়ে। ১৫ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে দুর্গাপূজা।
বিডি প্রতিদিন/৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮/হিমেল