নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ২৫৭ নেতাকর্মীর নামে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে এ মামলায় ৩ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে বুধবার (১০ অক্টোবর) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ফয়সাল আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ছাত্রদল নেতা শাহাদাৎ হোসেন, বিএনপি নেতা মমিন ও রুবেল। মামলায় আরো ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৫টি অবিস্ফোরিত ককটেল, ৫টি কাঠের লাঠি, গাড়ি ভাঙ্গার ১০-১৫ পিছ কাচের টুকরা, বিস্ফোরিত ককটেলের কিছু অংশ ও একটি পুরাতন ছোট টায়ার উদ্ধার করা হয়েছে বলে মামলায় দেখানো হয়েছে।
মামলা আসামিরা হলেন- গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হোসেন, ফজলুল হক, গোলজার খান, জসিম, কানা আনার ওরফে বোমা আনোয়ার, ইমাম হোসেন বাদল, আকরাম, পান্না, সালাহউদ্দিন, পল্টু কর্মকার, মুসা, আহমেদ লালা, দেলোয়ার হোসেন খোকন, সাগর, আসলাম মন্ডল, মামুন ওরফে বিদ্যুৎ মামুন, নাজিম পারভেজ অন্তু, শাকিল, মোশারফ, পিন্টু মিয়া, আকবর আলী, রওশন চেয়ারম্যান, তাজুল ইসলাম, আইয়ুব আলী, হাসান পারভেজ, আব্দুল আল মামুন, হাজী জসিমউদ্দিন, আল মামুন ওরফে বাঘ মামুন, আহসানউল্লাহ, মোস্তফা মুন্সী, আনোয়ার হোসেন, জালালউদ্দিন, সালাহউদ্দিন ওরফে রবিনহুড, নূরে আলম, নূর হোসেন, খাইরুল, দেলোয়ার, আহমেদ মান্নান, মোজাম্মেল, নুরুদ্দিন, আবুল কালাম, সাহাবুদ্দিন, রুবেল, আক্তার, মশিউর রহমান মশু, স্বপন মন্ডল, হাজী নজরুল ইসলাম পান্না, হুমায়ূন, বায়েজীদ হাসান, খালেক টিপু, গাজী নূরে আলম, মনির, জিএম সাদরিলসহ অজ্ঞাত ২০০ জন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা ২১ আগস্টের মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে সাকিনস্থ ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী সড়কে বিভিন্ন অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে মিছিল করে ও ভাঙচুর করে। এসময় তারা ককটেলেরও বিস্ফোরণ ঘটায়। সেখান থেকেই ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা বিভিন্ন সরকারি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলেও মামলায় অভিযোগ আনা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার টিটু জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে নাশকতার করে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলায় পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার