এভারেস্ট একাডেমির আয়োজনে বাংলা চ্যানেল (১৬.১ কি. মি.) পাড়ি দিলেন ভারতের দূরপাল্লার নারী সাঁতারু তাহরিনা নাসরিন। বাংলা চ্যানেল সাঁতরে পাড়ি দিতে গত ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশে আসেন তাহরিনা নাসরিন। ২১ ও ২২ নভেম্বর সেন্টমার্টিনে অনুশীলন করেন এই ভারতীয় নারী সাঁতারু। এরপর আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে টেকনাফের শাহ পরীরদ্বীপ ফিশারিজ জেটি থেকে সাঁতার শুরু করেন তাহরিনা।
তাহরিনা নাসরিন বাংলা চ্যানেল সাঁতারের সবচেয়ে কম সময় নিয়ে (৩ ঘণ্টা ৯ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড) একটানা সাঁতরে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছালে উৎসাহী পর্যটকরা করতালির মাধ্যমে তাকে অভিনন্দন জানান। বাংলা চ্যানেল সাঁতারে এর আগে সর্বোচ্চ রেকর্ডটি ছিলো সাইফুল ইসলাম রাসেলের (৩ ঘণ্টা ৮ মিনিট ৭ সেকেন্ড)। মেয়েদের মধ্যে নতুন রেকর্ড করলেন তাহরিনা। এর আগে মেয়েদের রেকর্ডটি ছিলো ভারতের রিতু কেডিয়ার, তিনি বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে সময় নিয়েছিলেন ৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।
এর আগে তাহরিনা নাসরিন প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে ২০১৫ এর ৩ সেপ্টেম্বর ১২ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট সময় নিয়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন, যা কোনো ভারতীয় সাঁতারুদের মধ্যে দ্রুততম। তিনি প্রথম ভারতীয় বাঙালি নারী সাঁতারু হিসাবে বাংলা চ্যনেলে এই রেকর্ড গড়তে পেরে উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করেন। ২৪ বছর বয়সী তাহরিনা প্রথম নারী সাঁতারু হিসাবে বাংলা চ্যানেল ডাবল ক্রস করার ইচ্ছাও ব্যক্ত করেছেন।
বাংলা চ্যানেল ম্যারাথন সাঁতারে ২০১২ সালে যুক্ত হয়েছিলেন নেদারল্যান্ডের সাঁতারু ইংলিশ চ্যানেল বিজয়ী ভ্যান গুল মিলকো। সে বছর থেকেই বাংলা চ্যানেল সাঁতারের নাম "ইন্টারন্যাশনাল ওপেন ওয়াটার লং ডিসটেন্স সুইমিং' লিস্টভুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের পতাকা আরও একবার গৌরবান্বিত হয়েছে।
সাঁতারটির আয়োজনে এভারেস্ট একাডেমির সাঁতার পরিচালনাকারী দলের সাথে ছিলেন হেলদি হোমের ডা. মহসীন কবির লিমন, লাইফগার্ড হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন সিআইপিআরবির সি-সেইফ সুইমিং প্রোগ্রামের লাইফগার্ড কামাল হোসেন। এছাড়া সাঁতারটিতে রেফারি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন রেফারি তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু এবং নেভিগেটর হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন রাফাহ্ উদ্দিন সিরাজী।
বিডি প্রতিদিন/২৩ নভেম্বর ২০১৮/হিমেল