বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে খলিলুর রহমান শেখ (৫০) নামে তাঁতী লীগের এক নেতা খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের হরিণধরা গ্রামের সেলিম শেখের বাড়ির কাছে রাস্তার পাশে তার লাশ পাওয়া যায়। সাইকেল গ্যারেজ মিস্ত্রী নিহত খলিল মোরেলগঞ্জ পৌর তাঁতী লীগের সাবেক সদস্য সচিব ছিলেন।
খলিল স্থানীয় আওয়ামী রাজনীতির কোন্দলের কারণে খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার ছেলে রুবেল শেখ।
দলীয় কোন্দলের জের ধরে এর আগে গত ১ অক্টোবর প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতাকে।
খলিলের ছেলে রুবেল শেখ (২২) বলেন, রাত ৭টার দিকে কারো ফোন পেয়ে বাবা ঘর থেকে বের হন। এরপর তার ফোন বন্ধ পেয়ে খুঁজতে বের হয়ে বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে তার লাশ পাওয়া যায়। তার পরনের সকল কাপড় চোপড় ভিজা ছিল।
চিৎকার করে রুবেল আরও বলেন, ‘আমার বাবার অপরাধ একটাই তিনি মিলন কাকার গ্রুপ করতেন। এছাড়া তার আর কোনও অপরাধ ছিল না। ওই অপরাধের কারণেই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে’।
মোরেলগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজ উদ্দিন, থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ওসি আজিজুল ইসলাম বলেন, খলিলকে উদ্ধার করে রাত ৯ টার দিকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মশিউর রহমান জানান, খলিলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। শনিবার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে বাগেরহাট থেকে মোরেলগঞ্জে আনা হবে।
নিহত খলিল শেখ আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের উপজেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলনের কর্মী ছিলেন। এই ঘটনা সম্পর্কে অ্যাডভোকেট মিলন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি নমিনেশন পাইনি তাতে কোন দুঃখ নয়। কিন্তু মোরেলগঞ্জ-শরণখোলায় আমার কর্মীরা মারখাচ্ছে। খলিল খুন হল’।
খলিলের খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে নির্বাচনি পরিবেশ শান্ত করার দাবি জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/কালাম