নাটোরের বড়াইগ্রামে প্রেমের স্বীকৃতি না পেয়ে শিরিনা খাতুন নামে এক অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বর্ণী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিরিনা খাতুন বর্ণী গ্রামের জইম উদ্দিনের মেয়ে এবং পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
নিহতের বড় বোন জানান, প্রায় আড়াই বছর আগে সেলিনা খাতুন পার্শ্ববর্তী কুশমাইল গ্রামের সিরন মোল্লার ছেলে সার ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে শিরিনা বিয়ের জন্য রেজাউলকে চাপ দেয়। কিন্তু রেজাউল সময়ক্ষেপণের এক পর্যায়ে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে শিরিনা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির সদস্যদের অনুপস্থিতিতে একটি পরিত্যক্ত ঘরের তীরের সঙ্গে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে স্বজনরা ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকে রেজাউল করিম পলাতক রয়েছেন। এ ব্যাপারে মোবাইলে রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মোবাইল কেটে দিয়ে সুইচ অফ করে দেন।
বড়াইগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, শনিবার সকালে মেয়েটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম