পাবনার আতাইকুলা থানার দুবলিয়া গ্রামের স্কুলছাত্র আবির মাহমুদ ওরফে অনি বাবু হত্যার রহস্য উৎঘটন করেছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত বন্ধু জয়নাল আবেদীন জয়কে (১৪) আটক করে হত্যায় ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে।
জয় দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র এবং একই গ্রামের জিয়াউর রহমান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রুমা আক্তার রোজিনার ছেলে। একই সাথে অনির ব্যবহৃত দু’টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
আতাইকুলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, নিহত অনির ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার একই শ্রেণিতে পড়ুয়া বন্ধু জয়কে নিজ বাড়ি থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় আটক করা হয়।
জয়নাল আবেদীন জয়ের আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির বরাত দিয়ে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র অনি ও জয়। তারা দুজনেই গাম ড্রাগ (আঠা জাতীয়) নেশায় আসক্ত। তারা মাঝে মধ্যেই একটি বাগানে (হত্যাকান্ডের স্থানে) বসে ড্রাগ গ্রহণ করত। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় জয় অনিকে ফোন করে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় এবং দু’জনেই মাদকে আসক্ত হয়। এসময় অনি মোবাইল ফোনে ছবি দেখে জয়ের মেয়ে বন্ধুকে অল্লীল মন্তব্য করে। এতেই জয় ক্ষিপ্ত হয়ে তার কাছে থাকা চাকু অনির পেটে ঠুকিয়ে দেয়। আহত অনি আত্মরক্ষার্থে পালাতে গিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে মাটিতে পড়ে গেলে জয় চাকু দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে। লাশ গোপন করতে অপর বন্ধুকে ফোন করে নিয়ে দু’জন মিলে লাশ মাটি চাপা দেয়। (আসামি আটকের স্বার্থে অপর জনের নাম প্রকাশ করা হলো না।)
আতাইকুলা থানা পুলিশ অনির মোবাইল ফোন নম্বর ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুবলিয়া গ্রামের জিয়াউর রহমান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রুমা আক্তার রোজিনার ছেলে জয়নাল আবেদীন জয়কে আটক করে। জয়ের নিকট থেকে অনির ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। শনিবার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির শেষে জয়কে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় অনি বাড়ির কাছে দুবলিয়া বাজারে তার বাবার টিনের দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ হবার পর তার বাবা রবিউল প্রামানিক ২৭ নভেম্বর আতাইকুলা থানায় ডায়রি করেন। ৩০ নভেম্বর শুক্রবার খবর পেয়ে দুবলিয়া বাজার পুলিশ ক্যাস্প থেকে আনুমানিক ৩০ গজ দুরে একটি বাগানের মধ্যে গর্ত থেকে আতাইকুলা থানা পুলিশ অনির লাশ উদ্ধার করে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন