নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র ইছাহাক হোসেন (৭০) খুনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের শ্যালক আবুল কালাম আজাদ বুধবার সন্ধ্যায় বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে আটক হওয়া নজিপুর পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম ওরফে লেটু ফকিরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আজ বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গত বুধবার আটক করা অপর দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পত্নীতলা থানার ওসি পরিমল চন্দ্র মামলা করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নিহত ইছাহাক হোসেনের শ্যালক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় এজাহারে কি কারণে কারা তাকে হত্যা করেছে বাদী তা উল্লেখ করেননি। হত্যাকান্ডের বিবরণ দিয়ে বাদি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত খুনিদের বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত খুনের ঘটনায় কোনো রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। তবে তদন্ত চলছে আশা করছি খুব শিঘ্রই এই হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটিত হবে এবং খুনিদের শণাক্ত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে নজিপুর পৌরসভার মামুদপুর এলাকায় নিজ বাসভবনের কাছে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র ইছাহাক হোসেন। এ ঘটনায় তার গাড়ির চালক দুলাল চন্দ্র আহত হন। তিনি বর্তমানে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনার পর ওই রাতেই ইছাহাক হোসেনের বাড়ির কেয়ারটেকার আতিকুল ইসলাম, নজিপুর পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম ওরফে লেটু ফকির ও তাঁর বড় ভাই লোকমান হোসেনকে আটক করে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার