নরসিংদীতে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ২০ জন।
শুক্রবার বেলা ১১টায় জেলার শিবপুর উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহসড়কের সৈয়দনগর নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।তারা হলেন, জেলার শিবপুরের ঘোড়ারগাঁও গ্রামের আবদুল হকের ছেলে আলাউদ্দিন (৬০), লোকাল বাসের চালক উত্তর নাগরিয়াকান্দি গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন (৫০) ও শিবপুরের কারাচর এলাকার নাছির উদ্দিনের স্ত্রী রেহেনা বেগম (৪৫)।
পুলিশ জানায়, বেলা ১১ টায় ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী রয়েল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ও মনোহরদী থেকে নরসিংদীগামী নিরাপদ পরিবহনের লোকাল বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি বাসই দুমড়ে মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই দু’জন নিহত হয়। আহত হয় অন্তত ২২ জন। আহতদের নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আরও দুজনকে মৃত ঘোষণা করে। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৮ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনা কবলিত আহত বাসের যাত্রী আবু সুলেমান বলেন, আমরা বাসের সামনে বসা ছিলাম। হঠাৎ দেখি আরেকটা বাস আমাদের গাড়ির উপর উঠিয়ে দিচ্ছে। আমি তাৎক্ষণিক লাফ দিয়ে বাসের পেছনে চলে আসি। এরই মধ্যে বিকট শব্দ। ঘটনাস্থলেই দু’জন মারা যায়। অনেক লোক আহত হয়। পরে আমাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়।
নিহত চালক আনোয়ার হোসেনের বোন পলি আক্তার বলেন, সকালে ভাই গাড়ি নিয়ে বাসা থেকে বের হয়। পরে খবর পাই গাড়ি এক্সিডেন্ট হয়েছে। এসে দেখি আমার ভাই আর নেই।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, বেপরোয়া গতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘাতক দুটি বাস জব্দ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম