ঝালকাঠির রাজাপুরে রিমা আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সাতুরিয়া গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। রিমা সাতুরিয়া গ্রামের মালয়শিয়া প্রবাসী মো. হাবিবুর রহমানের স্ত্রী। সে উপজেলার পূর্বফুলহার গ্রামের মোদাচ্ছের আলী আকনের মেয়ে।
এ ঘটনার পর থেকে নিহতের দেবর বরকত হোসেনকে পলাতক রয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রিমা আক্তার শ্বশুর শ্বাশুড়ির সঙ্গে এক ঘরে বসবাস করতেন। রাতে সবাই একসঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে রিমাকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ যাওয়ার আগেই তারা রিমার লাশ আড়া থেকে নামিয়ে নিচে রাখে।
রিমার বড় ভাই ছোলায়মান ইসলাম পারভেজ অভিযোগ করেন, রিমা আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। কারণ খাটের পাশে একফুট দূরত্বে ঘরের বেড়ার সাথে কাপড় রাখার স্থান। সেখানে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করার মতো কোন জায়গা নেই। বাঁচার জন্য তাঁর চারপাশে হাত দিয়ে ধরার অনেক কিছু ছিল। লাশ উদ্ধারের পরপরই রিমার দেবর বরকত হোসেন গাঢাকা দিয়েছে।
রিমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন একটি চিঠি স্থানীয়দের কাছে বিতরণ করেন। তাতে লেখা আছে লাশের ময়না তদন্ত যেন না করা হয়। এসব ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন নিহতের ভাই। তিনি ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ করেন।
এ ব্যাপারে রাজাপুর থানার ওসি মো. জাহিদ হোসেন বলেন, রিমা আক্তারের মৃত্যু সঠিক কারণ জানতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইউডি মামলা হয়েছে, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত