ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপি'র জামিনে মুক্তি পাওয়া নেতাদের জেলা কারাগার থেকে আনতে গিয়ে পুলিশের ধাওয়ার শিকার হয়েছেন নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি'র নেতাকর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝালকাঠির কারাগারের সামনেসহ তিনটি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় রাতেই অভিযান চালিয়ে উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল গোমস্তা ও একই ইউনিয়নের ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. মিঠুনকে গ্রেফতার করে।
জানা যায়, গত একমাস আগে রাজাপুর থেকে বিএনপির সাত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় গত একমাস কারাভোগের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তিপায় নেতাকর্মীরা। ঝালকাঠি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া নেতাকর্মীদের আনতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কারাগারের সামনে যায় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। এসময় পুলিশ জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তধস্তি হয়। পরে রাজাপুর ও ঝালকাঠির আঞ্চলিক মহাসড়কে চেকপোস্ট বসায় পুলিশ। রাজাপুর যাওয়ার পথে জামিনে মুক্তি পাওয়া সাতজন ও তাদের সঙ্গে আসা নেতাকর্মীদের পুলিশ বাধা দেয়। বেরপাশা ও ছত্রকান্দা এলাকায় দুই দফায় বাধার শিকার হয় নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশের নেতাকর্মীদের হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা।
এদিকে, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। মঠবাড়ি ইউনিয়ন থেকে দুইজন ছাত্রদল ও যুবদল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। রাজাপুর উপজেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নাজমুল হক বলেন, আমাদের নিরিহ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সড়কের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে হয়রানি করেছে পুলিশ। আমরা তাদের কিছু বলিনি, তারা আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মীকে গায়ে হাত দিয়েছে। রাতে আবার দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
রাজাপুর থানার ওসি মো. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘পুলিশ নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন স্থানে চেকপেস্টা বসিয়েছিল। এতে কাউকে হয়রানি করা হয়নি। পুলিশের নিয়মিত মামলার দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত