নওগাঁ শহরের বহুল আলোচিত রুমি জুয়েলার্সে প্রায় ৫শ’ ভরি সোনা চুরির ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ১১৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং সোনা বিক্রির ৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার দুপুরে পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন তার সভাকক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
সোনা চুরির এই ঘটনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন জানান, তার নিদের্শে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা জেলার শরণখোলা থানার অন্তর্গত পূর্ব খোন্তাকাটা গ্রামের আব্দুর রউফ ফারাজির ছেলে স্বপন ফারাজী (৪১), ফজলুল হকের দুই ছেলে রুস্তম আলী (৫৭) ও আবুল কালাম (৩৮), মুরাদনগর উপজেলার কিষ্টপুর সিদ্ধেশ্বরী গ্রামের মৃত আনু মিয়ার ছেলে জামাল উদ্দীন (৩৭), তিতাস থানার অন্তর্গত দক্ষিণ বিংলাবাড়ি গ্রামের মৃত মতিউর রহমান স্বর্ণকারের ছেলে সাগর আহম্মেদ (৩৪), একই থানার মঙ্গলকান্দি গ্রামের মৃত হাবিবুল্লার ছেলে ইয়াকুব আলী (৩৬), পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানাধীন গৌরীপুর গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে ইউনুস আলী (৩৫) এবং একই থানার টিএন্ডটি রোডের বাসিন্দা মৃত বেলাল হাওলাদারের ছেলে হানিফ হাওলাদারকে (২৬) গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃত রুস্তমের কাছ থেকে স্বর্ণ বিক্রির ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা, সাগরের কাছে থেকে ৩১ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ, ইউনুসের কাছে থেকে দেড় ভরি স্বর্ণ ও স্বর্ণ বিক্রির ৫ লাখ টাকা, হানিফের কাছে থেকে দেড় ভরি স্বর্ণ ও স্বর্ণ বিক্রির ৭৭ হাজার টাকা এবং জামালের কাছে থেকে ৭৮ ভরি গলানো স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি স্বর্ণও অবিলম্বে উদ্ধার করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর শুক্রবার বিকালে ওই চক্র রুমি জুয়েলার্সের পাশের দোকানের তালা ভেঙে প্রবেশ করে। এরপর সেখান থেকে সিঁদ কেটে সকল সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দিয়ে রুমি জুয়েলার্সে ঢুকে এই চুরি সংঘটিত করে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এ ব্যাপারে ৪ নভেম্বর নওগাঁ থানায় রুমি জুয়েলার্সের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/কালাম