বাগেরহাটের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প নগরী (বিসিক) নানা সমস্যায় জর্জরিত। দুই দশক আগে গড়ে ওঠা বাগেরহাটে বিসিক শিল্প নগরীতে বাড়েনি সুযোগ সুবিধা। দীর্ঘদিন ধরে বিসিকের অধিকাংশ সড়ক খানাখন্দ, ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপোযোগি হয়ে পড়েছে।
এখানে গড়ে ওঠা কলকারখানায় উৎপাদিত পণ্য পরিবহণে উদ্যোক্তাদের নিয়মিত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়ক ছাড়াও এখানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না। বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়।
ড্রেনের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও নাজুক। শিল্প উদ্যোক্তাদের সুপেয় পানি সরবরাহ করার কথা থাকলেও তা করছে কর্তৃপক্ষ। তাদের নানা সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ শিল্প উদ্যোক্তাদের। তবে বিসিক কর্তৃপক্ষ নানা সমস্যার কথা স্বীকার করে বলছে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ করা হবে।
ন্যাচারাল ফাইভার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিসিক শিল্প নগরীর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এখানকার কোন উন্নয়ন হচ্ছে না। অধিকাংশ সড়ক খানাখন্দ, ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপোযোগি হয়ে পড়েছে। আমরা যারা এখানে ছোট বড় শিল্প কারখানা গড়ে তুলেছি তারা সময়মত ট্যাক্স পরিশোধ করছি। অথচ বাগেরহাটে বিসিক শিল্প নগরীতে গড়ে উঠেনি পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা।
বাগেরহাট বিসিকের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সুব্রত কুমার মন্ডল নানা সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, বিসিকের রাস্তাঘাটসহ নানা সমস্যা আছে। পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার