একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলা মামলায় নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের খোঁজ নিতে সোমবার বিকালে শেরপুরে গেলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতারা। খোঁজ নিতে আসা বিএনপি নেতারা জেলা সভাপতি সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেলের বাসায় এক বৈঠক করেন।
এ সময় স্থানীয় নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেতা-কর্মীরা নানা হামলা মামলার স্বীকার হলেও এখন প্রার্থীরা খোঁজ নিচ্ছেন না। জেলখানায় অনেকেই দীর্ঘদিন থাকলেও পাচ্ছে না আইনগত বা আর্থিক কোন সহযোগিতা।
মাহমুদুল হক রুবেলের সভাপতিত্বে বেঠকে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স এবং ধর্ম সম্পাদক এটিএম আব্দুল বারি ড্যানি।
এসময় বক্তব্যে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ থাকলেও নির্বাচন হয়েছে ২৯ ডিসেম্বর রাতে। এই নির্বাচন আওয়ামী লীগ শুরু করেছে ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি যেদিন দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে নেওয়া হয়। ইতিহাসের কালিমা লিপ্ত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিতলেও হেরেছে দেশ ও গণতন্ত্র। পুলিশ, প্রশাসন, বিজিবি, মিডিয়ার কাছে ভিক্ষা নিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এসেছে।
এসময় তিনি আরও বলেন, এখন বিএনপি নেতাদের উচিৎ নির্যাতিত কর্মীদের পাশে থেকে দলকে শক্তিশালী করে সময়ের অপেক্ষা করা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সারা দেশ ব্যাপী বিএনপির ৮টি সাংগঠনিক গ্রুপ নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের খোঁজ নিচ্ছেন। তার অংশ হিসেবে আজ শেরপুরে বিএনপি নেতারা এসেছেন বলে তিনি জানান।
এসময় স্থানীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এ্যাড. তৌহিদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম স্বপন, ফজলুক হক লাভলু, মামুনুর রশিদ পলাশসহ শত শত নেতা-কর্মী।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন