ছুটি ছাড়াই নানা অজুহাতে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিজের চেম্বারে থাকছেন না বলে জানা গেছে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চেম্বারে থাকার বিধান থাকলেও তা মানছে না ওই হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসকেরা। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন রোগীরা।
তবে পদের তুলনায় চিকিৎসক কম থাকায় একই চিকিসৎককে অপারেশনসহ জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আবাসিক চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান।
সোমবার ও মঙ্গলবার (২৮ ও ২৯ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক আমিনুল হক লিপন, শিশু বিভাগের চিকিৎসক ফজলুল কাদের, গাইনি বিভাগের সালমা আক্তার ও অর্থপেডিক বিভাগের চিকিৎসক তৈমুর হোসেন তাদের চেম্বারে নেই।
রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘চিকিৎসকরা কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করলে সঙ্গে সঙ্গে ওএসডি করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর দিনই নাটোর সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল এমন দৃশ্য।
মেডিসিন বিভাগে ভর্তি থাকা সিংড়া উপজেলার এক রোগীর স্বজন কোকিল সরকার জানান, ডা. আমিনুল হক লিপন কিছু পরীক্ষা করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। পরীক্ষার পর তিনি রিপোর্ট দেখানোর জন্য ওই চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে দুপুর ১২টা থেকে অপেক্ষা করেন। কিন্তু দুপুর দেড়টার পরও তিনি চিকিৎসকের দেখা পাননি।
নাটোর সদর উপজেলার পটুয়াপাড়া গ্রামের শুভ আহমেদ জানান, তিনি চিকিৎসকের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য একঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছেন। কিন্তু দেখা পাচ্ছেন না।
একাধিক রোগী অভিযোগ করে বলেন, টিকিট কেটে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও চিকিৎসকের দেখা পাচ্ছি না। ছুটি ছাড়াই চেম্বারে অনুপস্থিত থাকছেন চিকিৎসকদের অনেকেই। চিকিৎসক কখন আসবেন তাও কেউ বলতে পারছে না।
হাসপাতালের স্টাফ ও নার্সরা জানান, দুপুরে চিকিৎসকেরা বিরতিতে যান। রোগী থাকলে আবার এসে দেখেন।
এবিষয়ে নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, জনবল কম থাকায় চিকিৎসকেরা একাধিক দায়িত্ব পালন করছেন। এ কারণে চেম্বারে বসার সময় একটু কম বেশি হতে পারে। তবে কোনো চিকিৎসক ছুটি ছাড়া কর্মস্থলে না থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম