ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবদুল্লাহ নামে পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত আবদুল্লাহ উপজেলার পৌর এলাকার খারপাড়া গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এদিকে নিহতের মায়ের দাবি, ছেলের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক বলছে, অস্বাভাবিক মৃত্যু। নিহতের গলায় এবং মাথার পাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের মায়ের রহস্যজনক আচরণে জনমনে কৌতুহল, স্বাভাবিক মৃত্যু হলে শরীরে আঘাতের চিহ্নগুলো কিসের।
নিহতের মা জানায়, নিহত আবদুল্লাহ তার ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলো। দুপুর বেলায় তার ডাকে সাড়া না দিলে আবদুল্লাহ’র বাবাকে ছেলে অসুস্থ বলে ফোনে জানায় নিহতের মা। তখন নিহতের বাবা জাকির হোসেন কোন এক কাজে কুমিল্লায় ছিলেন। বিকেলে নিহতের বাবা বাড়িতে এসে একমাত্র ছেলেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে তার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় তার বাবাকে। চিকিৎসক কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ আবদুল মালেককে এ বিষয়টি লিখিত আকারে অবহিত করে ব্যবস্থা নিতে বলেন। পুলিশ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করলেও নিহতের পরিবার স্বাভাবিক মৃত্যু দাবি করে। একমাত্র ছেলের মৃত্যুর খবরেও তার মায়ের নিরব থাকা এবং স্বাভাবিক আচরণে জনমনে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ আবদুল মালেক বলেন, মৃত শিশুটিকে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করে। গলা ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে চিকিৎসক আমাকে বিষয়টি লিখিত আকারে অবহিত করে ব্যবস্থা নিতে বলেন। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না পেলেও বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। মৃত্যুটি রহস্যজনক বলে মনে হচেছ।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর