কক্সবাজারের টেকনাফে মিয়ানমারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় দীর্ঘ ২২ দিন পর শুরু হয়েছে গবাদি পশু আমদানি। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার শাহ পরীর দ্বীপ করিডোরে ১৪টি ট্রলারে এসেছে ২ হাজার ২৫২টি পশু। তার মধ্যে গরু ছিল ১ হাজার ৫৮০টি ও মহিষ ৬৭২। রাজস্ব আদায় হয়েছে ১১ লাখ ২৬ হাজার টাকা।
সূত্র মতে, মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পশু দেশের চাহিদা পূরণে ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে। সীমান্তের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি কম হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামে পশুর সঙ্কট পড়ে।
টেকনাফ শুল্ক বিভাগ সূত্র জানায়, ২০০৩ সালের ২৫ মে টেকনাফের সাবরাং এর শাহপরীর দ্বীপ নাফনদীর পার্শ্বে একটি ক্যাডল করিডোর চালু করে। প্রতি গরু-মহিষ থেকে ৫০০ ও ছাগল ২০০ টাকা হারে রাজস্ব আদায় করা হয়। চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এছাড়া শাহপরীর দ্বীপ করিডোর দিয়ে ১ হাজার ৯৬০টি গরু, ৮৫১টি মহিষ আমদানি করা হয়েছে। এতে ১৪ লাখ সাড়ে ৫ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয় বলেও জানায়।
টেকনাফ উপজেলা পশু আমদানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আবুল কাশিম বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামে মিয়ানমারের পশুর চাহিদা রয়েছে।মিয়ানমারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় পশু ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। পশু আসা শুরু হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে।
টেকনাফ শুল্ক কর্মকর্তা শংকর কুমার দাশ বলেন, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে তিন সপ্তাহ ধরে পশু আমদানি বন্ধ ছিল। প্রতি বছর পশু খাত থেকে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করছে। সকল ব্যবসায়ীর সহযোগিতায় তা সম্ভব হচ্ছে। গতকাল ও আজ শুক্রবার থেকে আবার পশু আসা শুরু হয়েছে। এটি স্বাভাবিক থাকলে আগের মতো রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা