নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধসহ ১১ দফা দাবিতে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অনিদির্ষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন নৌযান শ্রমিকরা।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ২০১৬ সালের ঘোষিত বেতন স্কেলের পূর্ণ বাস্তবায়ন, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস প্রদান ও হয়রানি বন্ধ, নদীর নাব্যতা রক্ষা, নদীতে প্রয়োজনীয় মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপন।
এ কর্মবিরতিতে লঞ্চ, বাল্কহেড, তেলবাহী ট্যাংকার, বালুবাহী নৌকা, লাইটার জাহাজসহ সকল প্রকার নৌযান শ্রমিকরা একাত্মতা প্রকাশ করে কর্মবিরতি পালন করছেন।
ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পণ্য নিয়ে আসা প্রায় দু’শতাধিক কার্গো জাহাজ আশুগঞ্জ নৌবন্দরে আটকা পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে আশুগঞ্জের সঙ্গে দেশের পূর্বাঞ্চলীয় ৬টি নৌ-রুটের ৫ জেলা সিলেট, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৪ উপজেলার লঞ্চ যোগাযোগ। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে লঞ্চ যাত্রীদের। বন্ধ হয়ে গেছে নদীবন্দরের সকল প্রকার কার্যক্রম।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক একেএম হাবিবুল্লাহ বাহার জানান, নৌযান শ্রমিকরা ১১ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক কর্মবিরতি শুরু করেছেন। ন্যায্য দাবি না মানা হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
পূর্বাঞ্চলীয় কার্গো মালিক সমিতির সভাপতি হাজী নাজমুল হোসাইন হামদু জানান, ধর্মঘটের কারণে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত জরুরি কাচাঁমাল নিয়ে জাহাজ আটকা পড়ায় মালামাল পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। এ মুহূর্তে জাহাজ বন্ধ থাকলে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব।
বিডি প্রতিদিন/কালাম